Tag: editor’s choice
রান্নাঘরের মাইক্রোওয়েভ থেকে প্লাজমা

কঠিন থেকে তরল থেকে গ্যাস, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে পদার্থের দশা পরিবর্তনের এই কাহিনী আমাদের পরিচিত। কিন্তু সূর্যের মতো নক্ষত্রের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রায় পদার্থের দশা কি হয়? যেটা হয়, তাকে বলে প্লাজমা, ইলেক্ট্রন ছিটকে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে তৈরী ধনাত্মক আর ঋণাত্মক আধানের একটা স্যুপ। বিজ্ঞানীরা এই প্লাজমা অবস্থা গবেষণাগারে তৈরী করে তার ওপর পরীক্ষা চালিয়ে থাকেন। কিন্তু সেই পরীক্ষা এখন আমাদের নাগালের মধ্যে চলে আসতে পারে। প্লাজমা অবস্থা তৈরী করতে শুধু চাই একটা মাইক্রোওয়েভ ওভেন।
সুপারকন্ডাক্টারের কাহিনী: অক্ষয় বিদ্যুৎপ্রবাহের উৎস সন্ধান

পরিবাহীর রোধ-এর কথা আমরা স্কুলজীবনে পড়া ওহমের সূত্রের কল্যাণে সকলেই জানি। রোধ তাপমাত্রার সাথে কমতে থাকে। কিন্তু তাপমাত্রা ক্রমাগত কমাতে থাকলে প্রতিরোধক্ষমতা কমতে কমতে কোথায় গিয়ে পৌঁছবে? বহুচর্চিত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে তৈরি হল ইতিহাস – সূচনা হল নতুন অধ্যায়ের। অতিপরিবাহীতা বা সুপারকন্ডাক্টিভিটি – পদার্থবিদ্যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং চাঞ্চল্যকর এই অধ্যায়ের ইতিবৃত্তান্ত শোনাচ্ছেন শমাশিস সেনগুপ্ত ।
বিশৃঙ্খলার গতিবিদ্যা

একটা সময় ছিল যখন আবহাওয়া অফিসের কর্মচারীদের নিয়ে ঠাট্টা তামাশার অন্ত ছিল না। রেডিওতে যেই শোনা যেত “আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলা হচ্ছে …”, অনেক শ্রোতা রেডিও বন্ধ করে দিতেন। কিন্তু আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া এত কঠিন কেন? মাপজোখে যদিবা একটু উনিশ-বিশ হয়, তাই বলে পূর্বাভাস পুরো ঘেঁটে ঘ হয়ে যাবে? কেন সেটা হতে পারে, অঙ্ক কষে সেটা দেখাচ্ছেন অধ্যাপক জয়ন্ত ভট্টাচার্য।
ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রের এক ভারতীয় পরীক্ষা

ভারতীয় নাগরিকদের অনেকেই জ্যোতিষচর্চায় বিশ্বাস করেন এবং জ্যোতিষীদের কথামতো জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। বিগত কয়েক দশকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্যোতিষবিদ্যা-র ডিগ্রী চালু করার এবং তাকে বিজ্ঞানের মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু জ্যোতিষবিদ্যাকে সত্যিই কি বিজ্ঞান হিসেবে গণ্য করা যায়? এর উত্তরটা কয়েকটা সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব। সেরকমই একটা পরীক্ষা করেছিলেন পদার্থবিদ্যার গবেষক জয়ন্ত ভি. নারলিকার। দেখুন সেই পরীক্ষায় কি বেরিয়েছিল।
রতনলাল ব্রহ্মচারী: আচরণ পাঠের ব্যতিক্রমী গবেষক

মেরুদন্ডী-অমেরুদন্ডী নির্বিশেষে প্রাণীজগতের প্রায় সবাই গন্ধের মাধ্যমে একে অন্যের সাথে কথোপকথন চালায়। কীটপতঙ্গদের ফেরোমোনের বা বাঘেদের মূত্রগ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রাসায়নিক এদের সবার গন্ধের সূত্র একই অণু। আশ্চর্যের ব্যাপার হল, এই অণুই আবার বাসমতি চাল আর মহুয়া ফুলের গন্ধের সূত্র। প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের এই আশ্চর্যজনক যোগসূত্রের আবিষ্কার রতনলাল ব্রহ্মচারীর গবেষণায়। মানসপ্রতিম দাসের কলমে।
কোয়েনিসবার্গের সাতটি ব্রিজের সমস্যা থেকে গ্রাফ থিওরি

আপাতদৃষ্টিতে যা অলস দুপুরের টাইমপাস মনে হয়, তার থেকে যে গবেষণার একটা শাখা বেরিয়ে আসতে পারে, তার নিদর্শন হয়ে আছে কোয়েনিসবার্গের সাতটা ব্রিজের সমস্যা। সমস্যাটা হয়তো খুব একটা কঠিন নয়: সাতটা ব্রিজ একবার করে পেরোতে হবে এবং একবারের বেশি পেরোনো চলবে না। কিন্তু এর সমাধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এলো জোড়ায় জোড়ায় সংযুক্ত বস্তুর অঙ্ক অর্থাৎ গ্রাফ থিওরি। এই সমস্যার চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ক্লিফ স্টল এবং বাংলায় তার সাবটাইটেল প্রস্তুত করেছে ‘বিজ্ঞান’-এর স্বেচ্ছাসেবকরা।
শূন্য (প্রথম পর্ব)

দশমিক সংখ্যাতন্ত্রের শুরুতেই থাকে শূন্য। কিন্তু এক, দুই, তিন, চার-এর সাথে এক গোত্রে ফেলা চলে না তাকে। কেন শূন্যের প্রয়োজন হলো আর শূন্যবিহীন গণিত কেমন ছিল, সেই ইতিহাসটা বেশ চমকপ্রদ। বলা যায়, শূন্য একটা বড়ো শূন্যস্থান পূরণ করেছিল।