আমি ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যা, আয়ুর্বেদ, রসায়ন ও ধাতুবিদ্যার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। এই আলোচনার উদ্দেশ্য এটা দেখানো যে কিভাবে নিম্নমানের বিজ্ঞানশিক্ষা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষামূলক বিজ্ঞানচর্চার অবক্ষয় প্রাচীন ভারতের বিজ্ঞান ও সভ্যতার পতন ঘটিয়েছে। প্রথমেই বলে নিতে চাই, এই লেখার বিষয় আর আমার গবেষণার বিষয় এক নয়। তবে একজন ভারতীয় বৈজ্ঞানিক হিসেবে ভারতের বিজ্ঞান চর্চার অবক্ষয় অবশ্যই আমার জন্য চিন্তার বিষয়। তাই আমি কয়েকজন বরেণ্য ভারতীয় বৈজ্ঞানিকের উদ্ধৃতির উপর ভিত্তি করেই এই বিষয়টি উপস্থাপন করতে চলেছি।
এর আগে আমরা আলোচনা করেছিলাম রসায়ন ও ধাতুবিদ্যা এবং জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে। এই পর্বের আলোচনার বিষয় আয়ুর্বেদ চর্চার ইতিহাস। আয়ুর্বেদের স্বর্ণযুগ থেকে বিলুপ্তি, এর পিছনে কি শুধু বিদেশিদের আক্রমণই দায়ী ছিল? নাকি কারণটা আরো গভীরে?
ভারতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমী, আয়ুর্বেদিক জীববিদ্যার ওপর অধ্যাপক এম . এস. বালিয়াথানের লেখা একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে [২]। অধ্যাপক বালিয়াথান একজন প্রখ্যাত হৃৎ-শল্যবিদ (cardiac surgeon) ও কৃত্তিম হৃৎপিণ্ড কপাটক (heart valve) আবিষ্কর্তা [১]। তার এই পারদর্শিতা যে শুধুমাত্র পুঁথিগত বা তাত্ত্বিক জ্ঞানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ তা নয়, উনি বিভিন্ন আয়ুর্বেদীয় পদ্ধতি কতটা কার্যকর সেই পরীক্ষানিরীক্ষাতেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত। আর তাই লেখার এই অধ্যায়ে আমার আলোচনার সিংহভাগ ওনার লেখার [২] ওপর ভিত্তি করেই করব। এমনকি কিছুক্ষেত্রে তার লেখা থেকে পুরোপুরি উদ্ধৃত করে দেব। তাতে লেখাচুরির দায় এসে পড়লেও আমি জানি যে এই অংশগুলি ওনার থেকে ভালো আমি লিখতে পারতাম না।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের স্বর্ণযুগ
অধ্যাপক বালিয়াথানের [২] মতে খ্রিষ্টীয় প্রথম থেকে অষ্টম শতকের মধ্যে সংহিতা পর্যায়টি ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের স্বর্ণযুগ বলে বিবেচিত হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বই লেখা হয়:
১) চরক সংহিতা (খ্রিষ্টীয় প্রথম শতক):
এটি ঋষি অগ্নিভেশ রচিত আয়ুর্বেদের উপর একখানি গ্রন্থের সংস্করণ। মূল বইটি আরো কয়েক শতাব্দী আগে রচিত হয়েছিল এবং এই সংস্করণটি সম্পাদনার কাজ করেন চরক।
২) সুশ্রুত সংহিতা (খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় বা তৃতীয় শতক)
এটি নাগার্জুনা দ্বারা সম্পাদিত শল্যচিকিৎসার ওপর একটি গ্রন্থ। বলা হয়, মূল বইটি সুশ্রুত রচনা করেন ৭০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ।
৩) অষ্টাঙ্গ সমগ্র ও অষ্টাঙ্গ হৃদয় ( খ্রিষ্টীয় অষ্টম-নবম শতাব্দী)
এটি রচনা করেন ভাগবত।
চরকের সম্পাদনাটি এতই উৎকৃষ্ট ছিল যে মূল লেখক না হওয়া সত্ত্বেও এই গ্রন্থটিকে চরক সংহিতা বলা হতে থাকে। এখানেই প্রথম ‘আয়ুর্বেদ’ শব্দটির প্রচলন শুরু হয়। শুধু তাই নয়, এখানেই প্রথম বিষয়টির (অন্ধ)বিশ্বাস-নির্ভরতা থেকে যুক্তিনির্ভরতায় উত্তরণ ঘটে। ওষুধপত্রের বিস্তারিত আলোচনা ছিল এটির মূল বৈশিষ্ট্য। বিশেষত ‘internal medicine’-এর ক্ষেত্রে এই বইখানি ছিল শেষ কথা [৩]।
দুই থেকে তিন শতাব্দীর মধ্যে এটি পার্সী, আরবী ও তিব্বতী ভাষায় অনূদিত হয় এবং মধ্য এশিয়াতেও শীঘ্রই এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। মধ্য এশিয়া থেকেই ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে খুঁজে পাওয়া বোয়ার পাণ্ডুলিপি (Bower Manuscript) তার প্রমাণ। বোয়ার পাণ্ডুলিপি খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতকে রচিত এবং চরক সংহিতার অসংখ্য শ্লোকে পরিপূর্ণ। Bower ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত থাকাকালীন মধ্য এশিয়ার কিছু অধিবাসীর কাছ থেকে এই পান্ডুলিপিখানি সংগ্রহ করে কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটিতে নিয়ে আসেন [৪]। এটি ছিল পার্চমেন্টের (পশুচর্মের কাগজ) ওপর ব্রাহ্মী লিপিতে লেখা। খ্রিষ্টীয় উনবিংশ শতকে চরক সংহিতা ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয়। এই একবিংশ শতকেও এটি সমান জনপ্রিয় এবং কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক য়ামাশিতা এটির একটি ডিজিটাল সংস্করণও তৈরী করেছেন।
রাইনোপ্লাস্টি: নাকের উপর অস্ত্রোপচার
নাকের প্লাস্টিক অস্ত্রোপচার বা রাইনোপ্লাস্টির (rhinoplasty) সাথে সুশ্রুতের নাম অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িয়ে আছে। রাইনোপ্লাস্টি গত তিন সহস্রাব্দে ভারত থেকে বিশ্বজনীনভাবে স্বীকৃত একমাত্র অস্ত্রোপচার পদ্ধতি। সুশ্রুত সংহিতা মূলত অস্ত্রোপচারের কথাই বলে। এখানে অস্ত্রোপচার পদ্ধতি, যন্ত্রপাতি, ওষুধপত্র এবং অস্ত্রোপচার সংক্রান্ত মানসিক আঘাতের পরিচর্যা নিয়ে বিশদ আলোচনা রয়েছে। সুশ্রুত সংহিতার কিছু অস্ত্রোপচার পদ্ধতি ও যন্ত্রপাতির ছবি দেওয়া হলো [২]।
চরক সংহিতার তুলনায় সুশ্রুত সংহিতার ভাষা সরল এবং চিকিৎসাশাস্ত্রের দার্শনিক পর্যালোচনাও তুলনায় কম। অস্ত্রোপচার পদ্ধতি ও যন্ত্রপাতির যথাযথ ও নির্ভুল ছবি এ কথাই প্রমাণ করে যে সংহিতাকার নাগার্জুনা সম্ভবত পুঁথিগত বিদ্যাধারীই ছিলেন না, বরং হাতেকলমে অস্ত্রোপচারে অভ্যস্ত ছিলেন। ভারতের বাইরেও সুশ্রুত সংহিতার বেশ কদর ছিল। খলিফাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এটি আরবী ভাষাতেও অনূদিত হয় এবং এই সময় কিছু ভারতীয় চিকিৎসক বাগদাদে ছিলেন বলেও মনে করা হয়।
ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের প্রচার ও অবশেষে বিলুপ্তি
অবশ্য এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই যে চরক ও সুশ্রুত সংহিতা তদানীন্তন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হত। সেখান থেকে অগণিত ছাত্রের হাত ধরে এই দুই সংহিতার প্রতিলিপি ও অনুবাদ পাড়ি জমায় চীন, তিব্বত ও অন্যান্য পূর্ব এশীয় দেশে। অনেক সময় ছাত্রদের সাথে সাথে তাদের আচার্য্যরাও বিদেশে গিয়ে প্রচার করেছেন। তার ফলে আজও চিকিৎসা বা দর্শন সংক্রান্ত অনেক প্রাচীন ভারতীয় শাস্ত্রের মূল সংস্কৃত সংস্করণ না পাওয়া গেলেও তাদের চাইনিজ বা তিব্বতী অনুবাদ পাওয়া যায়। বর্বর আক্রমণের ফলে এইরকম অনেক প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞানভাণ্ডার বিলুপ্ত হতে হতেও একপ্রকার পুনর্জন্ম পেয়েছে এইভাবে [১]। বর্বর আক্রমণ বলতে এখানে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে বক্তিয়ার খিলজী কর্তৃক নালন্দা আক্রমণ ও ধ্বংসকে বোঝানো হয়েছে।
আচার্য পি. সি. রায় এর মতে, আনুমানিক অষ্টম কি নবম শতাব্দীতে যখন আয়ুর্বেদ-এর বিকাশের পথ প্রায় রুদ্ধ হয়ে এসেছে, ঠিক সেই সময় ভাগবত অষ্টাঙ্গ সংগ্রহ এবং অষ্টাঙ্গ হৃদয়া রচনা করেন [৫]। এই বই দুটি চরক এবং সুশ্রূত-এর শিক্ষাকে প্রামাণ্য হিসেবে গ্রহণ করে, এবং সেই শিক্ষা খুব সহজে এবং সংক্ষেপে উপস্থাপনা করে। বিশেষ করে অষ্টাঙ্গ হৃদয়া প্রশংসনীয় ভাবে এই ভূমিকাটি পালন করে, এবং রচনার কাব্যগুণে খুব তাড়াতাড়ি লোকপ্রিয় হয়ে ওঠে, যা কিনা এই ধরনের রচনার ক্ষেত্রে খুব দুর্লভ। কিন্তু ভাগবত-পরবর্তী কালে, লেখনীর এমন সৃজনশীলতা ভারী দুর্লভ হয়ে পড়ে, এবং আয়ুর্বেদ-রচনার ইতিহাসে সহস্র-বৎসর ব্যাপি এক দীর্ঘ নিশ্চলতার সূচনা হয় [২]।
এই দীর্ঘসময় ধরে আয়ুর্বেদের কিছু অভিধান, এবং প্রাচীন রচনাগুলির কিছু টিক্কা-টিপ্পনি ছাড়া তেমন কিছুই রচিত হয়নি। এই যুগে না ছিল চরক-সুশ্রূত-এর চর্চা, না রইল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষার পীঠস্থান। এরই মাঝে মুঘলযুগের মুসলিম শাসকদের পারসী-আরবিক ঘরানার চিকিৎসাবিদ্যা ‘উনানী’ এর প্রতি পৃষ্ঠপোষকতা আয়ুর্বেদের অবক্ষয়কে আরও দ্রুততর করে।
চিকিৎসাশাস্ত্রের অবলুপ্তির কারণ খতিয়ে দেখলে
কিন্তু এই অবক্ষয়ের মূল শিকড় ছিল ভারতীয় সমাজের ইতিহাসের গভীরে। তা হলো পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে আয়ুর্বেদ শিক্ষার অবনতি।
ভাগবত-এর সময়কালের অনেক আগেই সুশ্রূত-এর শল্যবিদ্যা আয়ুর্বেদের মূলস্রোত থেকে হারিয়ে গিয়েছিলো। শব-ব্যবচ্ছেদের উল্লেখ তো ছিলই না, এমনকি ছাত্রদের শল্যবিদ্যাশিক্ষার পাঠক্রমে ইন্সিশন, এক্সট্রাকশন, স্ক্র্যাপিং, এবং অন্যান্য অস্ত্রোপচার শিক্ষায় কাঁঠাল, শশা, এবং পশুর চামড়া ব্যবহার করে অনুশীলন করার রীতিও উঠে গিয়েছিলো [২]। সেই হিসেবে বলা যায় যে, আফগান/তুরস্কের ভারত-বিজয়, কিংবা ১২২০ খ্রিস্টাব্দে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের পতন, এই ঘটনাগুলি ভারতীয় সভ্যতা এবং বিজ্ঞানের উত্তরোত্তর অবক্ষয়ের কারণ নয়, ফলাফল ছিল।
১০০০-১০২৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে গজনীর সুলতান মামুদ ১৭ বার ভারতবর্ষে হামলা চালায়, এবং মথুরা থেকে শুরু করে সৌরাষ্ট্রের সোমনাথ পর্যন্ত এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিপুল লুঠপাঠ চালায়। দাস হিসেবে বন্দি করে নিয়ে যায় এখানকার কয়েক হাজার সুদক্ষ শ্রমিক ও কারিগরদের। কিন্তু এতেও আমাদের শিক্ষা হয় নি, এবং আমরা নিজেদের সংগঠিত করিনি। এশিয়ার বিখ্যাত বিজ্ঞানী/পন্ডিত আল-বেরুনী, যিনি মামুদের নির্দেশে ১০১৭ সালে ভারতবর্ষে আসেন, ১৩ বছর ধরে ভারত-পরিক্রমা করে ভারত এবং ভারতীয়দের নিয়ে একটি বিশদ গ্রন্থ রচনা করেন। আলবেরুনীর সেই লেখার একটি অংশ নিচে তুলে দেওয়া হলো [৬]।
“হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে তাদের দেশের মতো আর কোনো দেশ নেই, তাদের জাতির মতো আর কোনো জাতি নেই, তাদের রাজার মতো কোথাও রাজা নেই, তাদের ধর্মের কোনো তুলনা নেই। তারা দাম্ভিক, নির্বোধের মতো আত্মাভিমানী, আত্মগর্বী, এবং নিষ্কর্মা। একজন বিদেশিকে তো বটেই, এমনকি নিজেদের সমাজের অন্য জাতের লোকজনকেও নিজেদের জ্ঞান ও শিক্ষার ভাগ দিতে তারা অত্যন্ত অনিচ্ছুক এবং তা লুকিয়ে রাখতে সদা-তৎপর। এমনই তাদের দম্ভ, যে তুমি যদি তাদের কাছে খোরাসান কিংবা পারস্যের কোনো পন্ডিতের উল্লেখ করো , তাহলে তারা তোমায় একইসাথে মূর্খ ও মিথ্যাবাদী ধরে নেবে। যদি তারা বিদেশে ভ্রমণ করা শুরু করে এবং অন্যদেশের লোকজনের সাথে মেলামেশা আলাপালোচনা শুরু করে, তবেই তাদের এই মানসিকতার পরিবর্তন হবে, কারণ তাদের পূর্বপুরুষেরা তাদের মতো এমন সংকীর্ণমনা ছিলেন না।”
উপরে উদ্ধৃত অংশের শেষ লাইনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা জানি যে বিদেশ থেকে আগত পন্ডিতদের মাধ্যমে এবং বিদেশ ঘুরে আসা আমাদের পন্ডিতদের দ্বারা এই সভ্যতার কিরূপ বিকাশ হয়েছিল। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শতকে শক এবং কুশন রাজারা এই সমাজের অঙ্গীভূত হয়। কোনো রক্তপাত ব্যাতিরেখেই ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও এই সভ্যতা ছড়িয়ে পড়ে।
বিদেশ থেকে এদেশে পন্ডিতদের আসা এবং এদেশ থেকে বিদেশে পন্ডিতদের যাতায়াতের মাধ্যমে এই সভ্যতা বৌদ্ধ-ধর্মকে প্রায় সমগ্র এশিয়াতে ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলো। সমগ্র এশিয়া জুড়ে বিস্তারমান এমন স্পন্দনশীল একটি সভ্যতা কিন্তু ১০০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ নিজের সংকীর্ণ জাতপাতের বেড়াজালে নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছিলো। একইসাথে কোনো সাম্রাজ্যের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে নালন্দার মতো উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও দুর্বল হতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে এই দেশ ও জাতি তাই খুব সহজেই বহিরাগত আক্রমণকারীদের শিকার হয়।
পরের সংখ্যায়, এই লেখার শেষ পর্বে আমরা দেখবো কিভাবে সমাজের মূলস্রোত থেকে হারিয়ে গেলেও, প্রাচীন ভারতীয় বিজ্ঞানের আপাতভাবে লুপ্ত এই শাখাগুলি সমাজের কিছু তথাকথিত নিচুতলার জাতিদের মধ্যে আজও টিকে রয়েছে।
প্রচ্ছদের ছবি – চরক (উৎস)
পরবর্তী অংশ পড়ুন এখানে ক্লিক করে
[১] অধ্যাপক বালিয়াথান ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমীর সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি মণিপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও বর্তমানে এখানকার জাতীয় অধ্যাপক। অধ্যাপক বালিয়াথান আয়ুর্বেদিক জীববিদ্যার একজন বিশেষজ্ঞ।
[২] M. S. Valiathan: Towards Ayurvedic Biology, A Decadal Vision Document of Indian Institute of Sciences, Bangalore (2006).
[৩] ‘internal medicine’: ‘আমেরিকান কলেজ অফ্ ফিজিশিয়ানস্’ এর সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘internal medicine’ হল চিকিৎসাবিদ্যার সেই শাখা যেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ, নিরূপণ ও চিকিৎসা নিয়ে চর্চা করা হয়।
[৪] উইকিপিডিয়া
[৫] P. C. Ray: History of Chemistry in Ancient and Medieval India, Indian Chemical Society, Calcutta (1956).
[৬] https://www.shunya.net/Text/Blog/AlBeruniIndia.html.