21-12-2024 18:10:35 pm
Link: https://bigyan.org.in/physics-history-02
ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স-এর অধ্যাপক ড: সৌমিত্র সেনগুপ্ত-র সাথে বিজ্ঞান টীম আড্ডায় বসেছিল। আলোচনার বিষয়, পদার্থবিদ্যার ইতিহাস। এই ইতিহাস ঘাঁটলে আজকের বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানের ছাত্ররা যে অনেক লাভবান হতে পারে, সেটা আরেকবার টের পাওয়া গেল। আলোচনার এই কিস্তিতে, তড়িচ্চুম্বকীয় তত্ত্ব (ইলেক্ট্রোম্যাগ্নেটিজম) এবং পরবর্তীকালে তার সংকট নিয়ে আমরা শুনবো।
নিউটন প্রথম দেখিয়েছিলেন পদার্থবিদ্যাতে আপাত ভিন্ন ঘটনাকে একই সূত্রে আবদ্ধ করা যায়। যে মাধ্যাকর্ষণ বল আমাদের পৃথিবীতে টানছে, সেই মাধ্যাকর্ষণ বল-ই সৌরজগৎকে পরিচালনা করছে। শুধু মাধ্যাকর্ষণ নয়, যে কোনো বল-এর প্রভাব একই সূত্র মেনে চলে। এইরকমই একটা কাণ্ড ঘটালেন ম্যাক্সওয়েল। অনেকগুলো আপাত ভিন্ন বিষয়কে একই ইমারত-এর গাঁথুনি হিসেবে দেখালেন। আধান, তড়িৎ, চুম্বক, এমনকি আলো কিম্বা তাপ সবই যে পরস্পরের সাথে জড়িত, তাঁর আগে কেউ এত স্পষ্টভাবে বলেননি।…
সবই ঠিক চলছিল। কিন্তু একটা বিশেষ ক্ষেত্রে গোলমাল দেখা দিলো। অঙ্ক করে দেখা গেলো একটা ব্ল্যাকবডি-তে তড়িচ্চুম্বকীয় তরঙ্গ আটকে গেলে তার শক্তি অসীম হয়ে যায়। যেহেতু এটা হওয়া সম্ভব নয়, এর ব্যাখ্যা খুঁজতে বসা হলো। উত্তর এলো গণিতজ্ঞদের কাছ থেকে। কিন্তু সে উত্তর এমনই অদ্ভুত যে তাকে বাস্তব জগতে ফেলতে গিয়ে নিউটন আর ম্যাক্সওয়েল-এর তৈরী পদার্থবিদ্যার বাইরে ভাবনাচিন্তা করতে হলো।…
ম্যাক্স প্লাঙ্ক যখন প্রথম বললেন যে শক্তি বিনিময়ের সর্বনিম্ন মুদ্রা রয়েছে এবং সেটা শূন্য নয়, তাকে তুমুল বিরোধের মুখে পড়তে হলো। এটা খুবই আশ্চর্যের কারণ বিজ্ঞানের মূল বক্তব্যই কোনো গোঁড়ামিকে প্রশ্রয় না দেওয়া। অথচ একটা প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব যেই চ্যালেঞ্জ-এর মুখে পড়লো, সেই তত্ত্বকে আঁকড়ে থাকার একটা প্রবণতা দেখা দিলো। এই প্রবণতাকে অতিক্রম করে কোয়ান্টাম থিওরি যে শেষ পর্যন্ত মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারলো, সেখানেই বিজ্ঞানের সবথেকে বড় শিক্ষা লুকিয়ে রয়েছে।…
লেখাটি অনলাইন পড়তে হলে নিচের কোডটি স্ক্যান করো।
Scan the above code to read the post online.
Link: https://bigyan.org.in/physics-history-02