11-05-2025 13:39:13 pm

print

 
বিজ্ঞান - Bigyan-logo

বিজ্ঞান - Bigyan

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের এক বৈদ্যুতিন মাধ্যম
An online Bengali Popular Science magazine

https://bigyan.org.in

 

চোট লাগলে ফুলে যায় কেন ? (পাঠকের দরবার - ৫)


%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b8-%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f
লার্স গ্রান্ট

(Jewish General Hospital, Montreal)

 
06 Mar 2017
 

Link: https://bigyan.org.in/pathak5

%e0%a6%9a%e0%a7%8b%e0%a6%9f-%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%ab%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a6%be

আঘাত লেগে ফুলে যাওয়ার ঘটনা আসলে আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার এক দক্ষ বহিঃপ্রকাশ। ‘বিজ্ঞান’-এর পাঠক বিশ্বজিত গিরির করা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন ডাক্তার লার্স গ্রান্ট।

চোট লাগা জায়গার ফুলে যাওয়াটা আপাতভাবে স্বাভাবিক মনে হয় বটে, কিন্তু আসলে এটা আমাদের শরীরের প্রত্যেক টিস্যুতে উপস্থিত বেশ জটিল এবং দক্ষভাবে সাজানো একটা সতর্কীকরণ ব্যবস্থার  বহিঃপ্রকাশ। শরীরের কোন জায়গায় চোট আঘাত লাগলে বা রোগজীবাণুর সংক্রমণ হলে এই সতর্কীকরণ ব্যবস্থা শরীরকে তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করে তোলে। শরীর তখন সেই জায়গাতে প্রদাহ (inflammation) তৈরি করে। আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল এই পদ্ধতি।

যখন শরীরের কোন জায়গায় আঘাত লাগে (গোড়ালি মচকানোর কথাই ধরা যাক,  গোড়ালি মচকালে গোড়ালির হাড়গুলোর মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী তন্তু ছিঁড়ে যায় ) – তখন রক্তবাহী ছোট ছোট নালীগুলো ফেটে যায়, সুস্থ কোষগুলোও যায় মরে। টিস্যুর এই চোট আর কোষের মৃত্যুর ফল দাঁড়ায় এই যে কোষ বা টিস্যুর মধ্যে আটকে থাকা বেশ কিছু রাসায়নিক যৌগ ক্ষতস্থানে বেরিয়ে আসে – এটাই চোট লাগার সংকেত।

চোট লাগা জায়গার ফুলে যাওয়াটা আমাদের শরীরের প্রত্যেক টিস্যুতে উপস্থিত একটা সতর্কীকরণ ব্যবস্থার বহিঃপ্রকাশ।

এই সংকেত-জানানো যৌগগুলোর উপস্থিতি আশেপাশের রক্তবাহী নালীগুলো শনাক্ত করতে পারে। তখন তারা ১) ফুলে ওঠে , এবং ২) বেশিমাত্রায় ক্ষরণপ্রবণ হয়ে ওঠে । ফলে ক্ষতস্থানে রক্ত বেশি করে যায় এবং রক্তস্রোতে উপস্থিত বিভিন্ন প্রোটিন আর রক্তকণিকারা ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে। রক্তস্রোত থেকে প্রচুর জলও ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে – যার জন্যে চোটলাগা জায়গাটা ঘন্টা কয়েকের মধ্যেই ফুলে ওঠে।

আশপাশের রক্তস্রোতের শ্বেত রক্তকণিকারাও চোটের এই রাসায়নিক সংকেত বুঝতে পেরে ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুতে চলে যেতে বাধ্য হয়। এই রক্তকণিকারা মৃত টিস্যুদের খুঁজে খুঁজে বার করে ধ্বংস করে, যাতে তার জায়গায় নতুন সুস্থ টিস্যু জন্মাতে পারে। যেসব ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে সারানো যায় না, তাদেরও এই শ্বেত রক্তকণিকারা মেরে ফেলে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুর ধ্বংসাবশেষ আস্তে আস্তে রক্তস্রোতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়, যাতে তা শরীরের অন্য অংশের মাধ্যমে বের করে দেওয়া যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো যখন এইভাবে পরিষ্কার করা হচ্ছে, তখন ক্ষতস্থানে উপস্থিত অন্য সুস্থ কোষেরা নতুন টিস্যু বানানো শুরু করে। তবে এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ হতে বেশ সময় লাগে – কয়েক সপ্তাহ বা কিছু ক্ষেত্রে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে।

এইভাবে চোট লাগা থেকে সেরে ওঠার প্রক্রিয়া কাজ করে।

Read more: থাইরয়েড কীভাবে শরীরের বিপাক ব্যবস্থায় ও মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে? ,
মানুষের বিভিন্ন আবেগ কি জন্মগত না অর্জিত?

(ইংরাজী থেকে লেখাটি বাংলায় অনুবাদ করেছে চিরঞ্জীব মুখোপাধ্যায়।)

লেখাটি অনলাইন পড়তে হলে নিচের কোডটি স্ক্যান করো।

Scan the above code to read the post online.

Link: https://bigyan.org.in/pathak5

print

 

© and ® by বিজ্ঞান - Bigyan, 2013-25