25-11-2025 14:46:47 pm
Link: https://bigyan.org.in/dream-way-to-cern

2009 সালের এক সন্ধ্যা।
আকাশে হালকা মেঘ, ঘরে টিভি চলছে, হঠাৎ থমকে গেলাম এক ডকুমেন্টারির সামনে— “The Big Bang Machine”।
উপস্থাপক Brian Cox বলছিলেন, পৃথিবীর বুকের 100 মিটার গভীরে, 27 কিমি দীর্ঘ সুরঙ্গের মধ্যে তৈরি হয়েছে মানবজাতির এক বিস্ময় —The Large Hadron Collider। যার উদ্দেশ্য, মহাবিশ্বের জন্মের অন্ধকার রহস্যে আলো জ্বালানো।
ঠিক তখনই তার বলা একটা কথা আজও কানে বাজে—
“In the beginning, there was nothing— no space, no time— just endless nothingness. Then, about 13.6 billion years ago, from nothing came everything — the Big Bang.”
সেদিন থেকেই মনে একরাশ ইচ্ছা— যদি একবার সার্ন যেতে পারতাম।
ছাত্রজীবনে পদার্থবিদ্যার প্রতি প্রেমটা ছিল গভীর। পরে মেদিনীপুর কলেজে আংশিক সময়ের শিক্ষক। ক্লাসে Nuclear ও Particle Physics পড়াতাম, নিজের আগ্রহে, নিজের আনন্দে। জানতাম, CERN-এ যাওয়া মানেই গবেষণার জগতে থাকা দরকার। আর আমার পেশাদার গবেষণার সুযোগ তখন ছিল না। ভাবতাম, এই স্বপ্নটা হয়তো কখনও পূরণ হবে না। তবু পদার্থবিজ্ঞানের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কটা ধরে রেখেছিলাম।
বছর কেটে যায়। IAPT, Physics Olympiad, Physics Education Research, Space Science Research— সব চলছিল, কিন্তু সার্ন তখনও দূর আকাশের তারা।
কিন্তু কে জানতো, এই সমস্ত পথ একদিন আমাকে সত্যিই CERN পৌঁছে দেবে?
24 শে মার্চ, 2025, রাত 9 টা 52, Bangalore Airport— Junior Science Olympiad Exposure Camp শেষে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়। মোবাইলে Jeff এর মেল এলো—
“I am very pleased to inform you that you have been selected to participate in this year’s International High School Teacher Programme (HST2025), which will take place at CERN, Geneva, from Sunday, 6 July to Saturday, 19 July 2025. We look forward to welcoming you among a group of 47 teachers from 36 different countries.”
পাশে বসে ছিল সৌমেন আর পাপুন। মনে হচ্ছিল, হৃদস্পন্দন থমকে গেছে। প্রথম SMS করলাম দেবরূপা আর নয়ন-কে।
তারপর শুরু হলো এক নতুন যাত্রার প্রস্তুতি— ভিসা, ফ্লাইট, ক্লাস পরিকল্পনা, শিক্ষা দফতরের অনুমতি, উপহার— একেকটা ধাপ যেন স্বপ্নের সিঁড়ি।
অবশেষে সেই দিন এলো — আমি পৌঁছালাম CERN, সুইজারল্যান্ডর জেনেভা।
জেনিভা বিমানবন্দরে নেমে মনে হচ্ছিল— এ কি সত্যি? আমি কি সত্যিই সার্নের শহরে দাঁড়িয়ে?
নিজের চোখে CERN-এর নাম লেখা বোর্ড আর বিশ্ববিখ্যাত গ্লোব দেখে নিজের চোখকেই বিশ্বাস হচ্ছিল না।

যখন CERN-এর গেট পেরিয়ে ঢুকলাম, মনে হচ্ছিল— “এটা কি সত্যি? আমি কি সত্যিই সেই জায়গায় যেখানে বিগ ব্যাং-এর নিঃশব্দ প্রতিধ্বনি এখনও প্রতিফলিত হয়?”
প্রথম দিন বিকেলে আমাদের স্বাগত জানালেন Jeff, আমাদের Programme Coordinator। প্রাণখোলা হাসি, অবিশ্বাস্য গোছানো স্বভাব— মনে হচ্ছিল, আমাদের প্রতিটি মুহূর্ত যেন তিনি আগেই তাঁর নোটবুকে লিখে রেখেছেন।
প্রথম সন্ধ্যায় সার্নের ভেতরে আমাদের জন্য এক উষ্ণ আয়োজন— ওয়াইন আর ফ্রুট জুসের মাঝে আলাপচারিতা, আর তার সঙ্গে ছিল সার্নের আনাচে কানাচে প্রতিটি রাস্তার পরিচয় — পোশাকি নাম ট্রেজার হান্ট। সে যেন ছিল CERN-এর না বলা ইতিহাসের গল্পকথা শোনার একটি অনন্য রাত।
পরদিন সকালে সেই অভূতপূর্ব মুহূর্ত, সার্নের আইডেন্টিটি কার্ড তথা CERN– এ প্রবেশের ডিজিটাল অনুমতি। তারপর CERN Main Auditorium এ Jeff-এর প্রারম্ভিক বক্তৃতা। জায়গাটি শুধু একটি লেকচার হল নয়, বিজ্ঞানের ইতিহাস উদ্ভাবন ক্ষেত্র । 2012 সালের 4 জুলাই। পৃথিবীর প্রতিটি বিজ্ঞানীর চোখে সেই মুহূর্ত ছিল এক বিস্ময়ের ঝড়। সেইদিন— Peter Higgs নিজে বসেছিলেন ডানদিকের একটি চেয়ারে, নিঃশব্দে অপেক্ষা করছিলেন। Rolf-Dieter Heuer-এর ঘোষণা As a layman, I would say: now we have it!” followed by the more cautious “We have discovered a boson; now we have to find out what boson it is.”

CMS এবং ATLAS— দুই মহাকায় ডিটেক্টর একসঙ্গে নিশ্চিত করেছিল একই এনার্জি স্কেলে পাওয়া গেছে সেই বহু প্রতীক্ষিত কণার চিহ্ন। পরের বছর নোবেল পুরস্কার। ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
আর আমি? আমি দাঁড়িয়ে আছি সেই একই হলে, একই চেয়ার, একই আলোয়, যেখানে লেখা হয়েছিল পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস। চোখের সামনে চলছে সেই ঘোষণার ভিডিও, আর মনে হচ্ছে— ইতিহাস আমার কানে কানে কথা বলছে।
এরপরের দিনগুলো ছিল যেন স্বপ্নের ডায়েরি। HST2025-এর লেকচারগুলো ছিল এক অসাধারণ জ্ঞানের উৎসব— যেখানে বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা, গবেষণা আর আবিষ্কারের গল্প আমাদের সঙ্গে অকৃপণভাবে ভাগ করে নিয়েছেন। সূচনা হয়েছিল Council Chamber-এ Jonathan R. Ellis (King’s College London & CERN)-এর Introduction to Particle Physics-এর মাধ্যমে, যেখানে তিনি স্ট্যান্ডার্ড মডেল ও মৌলিক কণাদের বিস্ময়কর জগতে আমাদের প্রবেশ করান। Simon Albright (CERN) খুলে ধরেছিলেন Particle Accelerators-এর বিস্ময়কর প্রযুক্তি আর এর পেছনের জটিল ইঞ্জিনিয়ারিং। Ana Peixoto (CERN) সহজ ভাষায় বুঝিয়েছিলেন Particle Detectors-এর কার্যপ্রণালী, আর Luis Roberto Flores Castillo (The Chinese University of Hong Kong) আমাদের ফিরিয়ে নিয়েছিলেন 2012 সালের 4 জুলাই-এর সেই ঐতিহাসিক দিনে— যেদিন ঘোষিত হয়েছিল The Discovery of the Higgs Boson। Penelope Matilde Quassolo (CERN) দেখিয়েছিলেন Engineering at CERN-এর নেপথ্যের মহাযজ্ঞ, আর Georges Trad (CERN) শিখিয়েছিলেন How to run the LHC-এর মতো জটিল কাজের প্রতিটি ধাপ। এরপর Ina Carli (TRIUMF (CA)) মুগ্ধ করেছিলেন Antimatter Research-এর চমকপ্রদ গল্পে— যেখানে উঠে এসেছিল অ্যান্টি-গ্রাভিটি পরীক্ষার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা। Niels Tuning (Nikhef National institute for subatomic physics) উন্মোচন করেছিলেন Beauty Particle-এর রহস্য। ভবিষ্যতের স্বপ্ন এঁকেছিলেন Isabel Bejar Alonso (The Future of Particle Physics)— সুপারসিমেট্রি, ডার্ক ম্যাটার ও নতুন অ্যাক্সিলারেটরের রূপরেখা নিয়ে। Manjit Dosanjh (CERN) অনুপ্রেরণা জাগিয়েছিলেন Medical Applications of Particle Physics-এর মাধ্যমে— যেখানে ক্যান্সার চিকিৎসায় প্রোটন থেরাপির অসামান্য প্রয়োগ রয়েছে। আর Hannah Short (CERN) তুলে ধরেছিলেন Computing at CERN-এর বিশাল অবকাঠামো— যেখানে এক্সাবাইট পরিমাণ ডেটা সামলাতে কাজ করছে বিশ্বব্যাপী LHC Computing Grid। প্রতিটি বক্তৃতাই যেন নতুন এক জানালা, যা আমাদের সামনে খুলে দিয়েছিল বিজ্ঞানের অশেষ সম্ভাবনার দিগন্ত।
ল্যাব ভিজিটগুলো ছিল আরও রোমাঞ্চকর— প্রথমে ATLAS কন্ট্রোল রুম, যেখানে বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীরা একসঙ্গে কাজ করছেন মহাবিশ্বের ক্ষুদ্রতম রহস্য উদঘাটনে। তারপর CMS, মাটির প্রায় 100 মিটার নিচে, বিশাল চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের ভেতর দাঁড়িয়ে নিজের স্মার্টফোনের ম্যাগনেটোমিটারে দেখা সর্বোচ্চ রিডিং— 5000 মাইক্রোটেসলা— এরপরই Out of Range! এরপর দেখা CERN Data Centre— এক্সাবাইট ক্ষমতার পৃথিবীর বৃহত্তম ডেটা ভাণ্ডার, যেখানে LHC-এর বিপুল পরিমাণ তথ্য সংরক্ষিত হয়। ঘুরে দেখা Synchrocyclotron— CERN-এর প্রথম অ্যাক্সিলারেটর, যা ইতিহাসের এক জীবন্ত নিদর্শন। আর সবশেষে Antimatter Factory— যেখানে প্রথমবারের মতো তৈরি হয়েছিল কৃত্রিম অ্যান্টিম্যাটার। মাত্র কয়েক ফুট দূরে দাঁড়িয়ে সেই যন্ত্র দেখা— এমন মুহূর্ত ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
মাথায় তখন ঘুরছে প্রশ্ন— ম্যাটার যদি মহাকর্ষে আকর্ষণ করে, তবে কি অ্যান্টিম্যাটার বিকর্ষণ করবে? তবে কি এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে অ্যান্টি-গ্রাভিটির সম্ভাবনা? হয়তো বলার সময় এখনও আসেনি, কিন্তু বিজ্ঞানীদের আশা— সে দিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন মহাবিশ্বের অজানা রহস্যের নতুন দরজা খুলে যাবে।
এর সঙ্গে আছে সুপারসিমেট্রি (Supersymmetry)-র স্বপ্ন— যা বলে প্রতিটি কণারই আছে এক অদেখা “যমজ” কণা। হয়তো তার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ডার্ক ম্যাটার ও মহাবিশ্বের অদৃশ্য ভরের ব্যাখ্যা। CERN শুধু অতীতের মহাবিস্ফোরণ বোঝার জন্যই কাজ করছে না— তারা ভবিষ্যতও গড়ে তুলছে। ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা চলছে Future Circular Collider-এর— যা হবে LHC-এর থেকেও বিশাল ও শক্তিশালী। সেখানে হয়তো আবিষ্কৃত হবে এমন সব কণা, যেগুলো আজ কেবল তত্ত্বের পাতায় অস্তিত্ব রাখে।

সার্নের বাইরেও ছিল গল্পের ভাণ্ডার—
প্রোগ্রামের মাঝের রবিবার ছিল ছুটি। সেই সুযোগে আমরা গেলাম বার্ন শহরে— শান্ত, পরিচ্ছন্ন, ইতিহাসে ভরা। পথে গ্রামীণ সুইজারল্যান্ডের অপূর্ব দৃশ্য— সবুজ পাহাড়ের ঢাল, গরুর ঘণ্টার মৃদু আওয়াজ, আর নীল আকাশের নিচে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট গ্রাম।
বার্নে পৌঁছে প্রথমেই গেলাম Einstein House-এ— যে বাড়িতে একসময় থাকতেন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, যখন তিনি আপেক্ষিকতাবাদের ভিত্তি রচনা করছিলেন। ছোট্ট সেই ঘরগুলোর প্রতিটি কোণে যেন এখনও ভেসে বেড়ায় তাঁর উপস্থিতি— ব্যবহৃত আসবাবপত্র, হাতে লেখা নোট, আর পদার্থবিজ্ঞানের অমূল্য গবেষণাপত্রের আসল কপি। সেখান থেকে মাত্র 10 মিনিট হাঁটার পথ Einstein Museum— যেখানে সংরক্ষিত আছে তাঁর নোবেল পদক, পাসপোর্ট, ব্যক্তিগত চিঠিপত্র, আর বিজ্ঞানের ইতিহাস বদলে দেওয়া গবেষণার অমূল্য নথি। এই দুটি স্থানে দাঁড়িয়ে যেন মনে হচ্ছিল, আমি সময়ের স্রোত পেরিয়ে এক মহান বিজ্ঞানীর জীবনের অন্তরঙ্গ পরিসরে পৌঁছে গেছি। একজন পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র ও শিক্ষক হিসেবে এই অভিজ্ঞতা ছিল এক অনন্য শান্তি ও আনন্দের প্রাপ্তি— যেন শতাব্দীর সীমানা পেরিয়ে আমি তাঁর চিন্তার সঙ্গী হয়ে উঠেছি।
প্রোগ্রামের মাঝের আরেক দিনে আমরা গেলাম United Nations Office at Geneva (UNOG)-এ। পৃথিবীর নানা দেশের পতাকা সারি বেঁধে দুলছে বাতাসে, আর তার সামনে দাড়িয়ে মনে হচ্ছিল— মানবতার মিলনস্থলে এসে দাঁড়িয়েছি।
36টি দেশের 47 জন শিক্ষক— এক অনন্য বৈচিত্র্যের দল। ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন সংস্কৃতি, ভিন্ন অভিজ্ঞতা— কিন্তু বিজ্ঞান ও শিক্ষার প্রতি একই ভালোবাসা আমাদের সবাইকে বেঁধে রেখেছিল এক সুতোয়।
দিনের বেলা ক্লাস, লেকচার, স্টাডি গ্রুপ— যেখানে তর্ক-বিতর্ক আর মত বিনিময়ে গরম হয়ে উঠতো পরিবেশ; আবার রাত নামলেই আড্ডা জমতো অন্য মাত্রায়।
কারও হাতে কফির কাপ, কারও হাতে নোটপ্যাড— আলোচনা কখনও ঘুরে যেত পার্টিকল ফিজিক্সের জটিল সমীকরণে, তো কখনও চলে আসতো স্কুলের শ্রেণিকক্ষের মজার গল্প। মাঝখানে একদিন আমরা সবাই মিলে বেরিয়ে পড়লাম বোলিং খেলতে— হাসি, উচ্ছ্বাস আর বন্ধুত্বে ভরা সেই সন্ধ্যা যেন মুহূর্তেই আমাদের আরও কাছাকাছি নিয়ে এলো। আর তার পরেই পিজা পার্টি— যেখানে তাজা ইতালিয়ান পিজার সুবাস মিশে গেল আড্ডা, হাসি আর উষ্ণতার আনন্দে।
ফাঁকা সময় পেলেই বেরিয়ে পড়তাম জেনেভার পথে পথে হাঁটতে। লেক জেনেভার তীর, ছোট ছোট ক্যাফে, রঙিন ফুলে ভরা রাস্তা— সবই যেন পোস্টকার্ডের মতো সুন্দর। চোখের সামনে আল্পস পর্বতমালা, রাস্তার ধারে ম্যাপেল গাছ, রাত সাড়ে 9টায় সূর্য অস্ত যাওয়ার অপরূপ দৃশ্য। আর ভুলে যাওয়ার নয় ফরাসি খাবারের স্বাদ— নরম চিজ, তাজা পাউরুটি, সুগন্ধি কফি— প্রতিটি মুহূর্ত ছিল একেকটি স্মৃতি হয়ে ওঠা।
হঠাৎই আমাদের হোস্টেলের সামনে দেখা হয়ে গেল কয়েকজন বাঙালি ও ভারতীয় গবেষকের সঙ্গে। পরিচয়ের মুহূর্তেই যেন এক অদৃশ্য বন্ধন জেগে উঠল— ভাষা, সংস্কৃতি, আর শিকড়ের টানে। যখন বললাম আমি ভারতের শিক্ষক প্রতিনিধি হয়ে এসেছি, তাদের চোখের উজ্জ্বলতা আর আন্তরিক হাসি যেন আমার জন্যই গর্বে ভরে উঠল। সেই মুহূর্তে গভীরভাবে টের পেলাম— আমি শুধু নিজের জন্য নই, আমার দেশকেও এখানে প্রতিনিধিত্ব করছি। আর তার চূড়ান্ত প্রকাশ ছিল সেই গর্বিত উচ্চারণ—
“I am from India.”
CERN HST2025 আমার কাছে শুধুই এক শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম ছিল না— এটা ছিল স্বপ্নপূরণের গল্প, বিজ্ঞানকে নিজের চোখে দেখার সৌভাগ্য, আর সারা বিশ্বের সামনে নিজের দেশকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার গর্বের মুহূর্ত। এ ছিল শুধু একটি প্রোগ্রাম নয়, বরং বিজ্ঞান, বন্ধুত্ব ও সংস্কৃতির এক মহোৎসব— এ জীবনের সেরা সময়, যা হৃদয়ে রয়ে যাবে চিরকাল।
লেখাটি অনলাইন পড়তে হলে নিচের কোডটি স্ক্যান করো।
Scan the above code to read the post online.
Link: https://bigyan.org.in/dream-way-to-cern