21-11-2024 09:09:30 am
Link: https://bigyan.org.in/depression
“সেরকম কিছু না, ওর একটু ডিপ্রেশন হয়েছে ডাক্তারবাবু“,
“এই যবে থেকে ডিপ্রেশন হয়েছে একটুও কথা বলছে না, ঘর থেকে বেরোচ্ছে না“, অথবা
“কেন যে ছেলেটার এত ডিপ্রেশন হল, দিব্যি ছিল, স্কুলে ভাল পড়াশুনাও করছিল, … আমাদের ফ্যামিলিতে তো কোন অভাব নেই ডাক্তারবাবু, তবুও ছেলেটার (বা মেয়েটার) যে কী থেকে এমন ডিপ্রেশন হল …”
এবং এরকম আরো অনেক।
রোজকার ডাক্তারী জীবনে প্রায়শই এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট মানুষটির বাড়ির লোক এসে জানায় যে তাদের প্রিয় মানুষটি ডিপ্রেশনে ভুগছে। ডাক্তারী পরিভাষায় যাকে ডিপ্রেশন বলা হয়, তার লক্ষণ বা প্রকাশ কিন্তু আদতে বিভিন্ন। তবে রোগ বা অসুবিধেটি যে ডিপ্রেশন বা ডিপ্রেশনজনিত সে বিষয়ে সাধারণ মানুষ দ্বিমত রাখে না।
যদি আমরা ডিপ্রেশনের খুব কাছাকাছি বাংলা প্রতিশব্দ খুঁজতে চাই, সবার আগে আসবে ‘অবসাদ’ শব্দটি। অবসাদ – এই শব্দটির সাথে যে দুঃখ বা বিষাদ লেগে থাকে, সর্বনাশা রোগটিও ঠিক সেইরকমই। ডাক্তারী মতে যা ডিপ্রেশন বলে পরিচিত, তার পরতে পরতে জড়িয়ে থাকে মনখারাপ আর ভাল না লাগা। যে বিভিন্ন আঙ্গিকে ডিপ্রেশন বা অবসাদ রোগটিকে বোঝবার চেষ্টা করা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র দেওয়া নিয়মাবলী (গাইডলাইন)। এই নিয়মাবলী অনুযায়ী, অবসন্ন মন (‘লো মুড’), শক্তিহীনতা (‘লো এনার্জী’) এবং উৎসাহহীনতা (‘লো ইন্টারেস্ট’)-কে ডিপ্রেশনের আওতায় ফেলা হয়েছে। আরেকটু গভীরে গিয়ে, বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অ্যারন বেক-এর তত্ত্ব অনুযায়ী, নিজের, পরিবেশের এবং ভবিষ্যত সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা (নেগেটিভ ভিউ)-র সম্মিলিত প্রকাশই হল ডিপ্রেশন। অবশ্য, শুধু নেতিবাচক ধারণা থাকলেই চলবে না, রোজকার জীবনে তার প্রভাবও পড়া চাই। বই-এর ভাষায় যাকে বলে – ‘Significant Socio-occupational impairment’।
মন ও মনের অসুখ মানেই ডিপ্রেশন নয়। আপাতদৃষ্টিতে যাকে ডিপ্রেশন বলে মনে হচ্ছে, হতে পারে তা আসলে কোন জটিল রোগের বাহ্যিক লক্ষণমাত্র। এই ব্যাপারটা মনে রাখা একান্ত জরুরী, কারণ চিকিৎসা পদ্ধতি ও চিকিৎসার ফলাফল, দুটোই আলাদা হয় রোগের ক্ষেত্রবিশেষে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডিপ্রেশন বা ডিপ্রেশিভ এপিসোডকে সাধারণত দুইভাগে ভাগ করা হয় – ইউনিপোলার ডিপ্রেশন আর বাইপোলার ডিপ্রেশন। ডিপ্রেশনের গভীরতারও প্রকারভাগ আছে – অল্প (মাইল্ড), মাঝারী (মডারেট), বা গভীর (সিভিয়ার) হতে পারে। এর সাথে এসে জুড়ে বসতে পারে বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গ। তবে আমরা, সাধারণ মানুষরা, যে দু-একটা লক্ষণ দেখে সহজেই ‘ডিপ্রেশন হয়েছে’, এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই, তা কিন্তু অনেকাংশেই ঠিক নয়।
কোন অসুখ বা মানসিক রোগ অবসাদ বা ডিপ্রেশন ডেকে আনতে পারে? সেই তালিকাটি বেশ লম্বা ও জটিল। এ বিষয়ে যে অসুখটির কথা সবার আগে বলা উচিত, তা হল স্কিজোফ্রেনিয়া। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এর নেতিবাচক লক্ষণগুলির (নেগেটিভ সিম্পটমগুলি) প্রকাশ। স্কিজোফ্রেনিয়ার নেতিবাচক লক্ষণগুলি মূলত চার প্রকার, যেমন:
১. চিন্তা করা বা কথা বলার ক্ষমতা কমে যাওয়া (অ্যালোগিয়া)
২. মনের বিভিন্ন ভাব প্রকাশের ক্ষমতা সঙ্কুচিত হওয়া (অ্যাফেক্টিভ ফ্ল্যাটেনিং)
৩. কোন কিছু ভাল লাগার ক্ষমতা কমে যাওয়া (অ্যানহেডোনিয়া/Anhedonia), এবং
৪. কোন কাজ শুরু করার ইচ্ছে হারিয়ে ফেলা (অ্যাভোলিসন/ Avolition)।
মুশকিলটা হয় এখানেই যে লক্ষণগুলি অনেক ক্ষেত্রেই ডিপ্রেশন রোগটির লক্ষণের মতন দেখতে লাগে। কিন্তু জৈবিকভাবে দুটি রোগ সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বাভাবিক ভাবেই চিকিৎসা পদ্ধতিও আলাদা।
যে কোন রোগ নির্ণয় করতে দেরি হলে বা ভুল চিকিৎসা করলে, আসল রোগটি জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকে। এমনকি সেই রোগ থেকে মস্তিষ্কে স্থায়ী প্রভাব পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে (সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম নার্ভ ইনজুরি বা স্নায়ুপ্রদাহ জনিত)। যার ফল মানসিক স্বাস্থ্যের প্রবল ক্ষতি থেকে প্রাণহানি, যেকোন কিছুই হতে পারে।
আরো যে রোগগুলিকে ডিপ্রেশন বলে ভুল ভাবা হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন শারীরিক রোগজনিত অবসাদ, নেশা ও নেশার বস্তুজনিত অবসাদ, পরিস্থিতির কারণজনিত অবসাদ। এর সাথে রোজকার ভালো-না-লাগা বা বহু প্রচলিত কথা ‘মুড সুইং’ তো আছেই। কিন্তু যেটা মনে রাখা দরকার সেটা হল ডিপ্রেশন রোগটি অনেক বেশি জটিল, সুদূর প্রভাব বিস্তারকারী, এবং অনেক বেশী ক্ষতিকারক, যদি না সঠিক সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে, যখন ডিপ্রেশন এত তীব্র হয় যে তাতে বাস্তব ভিত্তিহীনতা অবধি এসে যায়। বাস্তবে যা সত্যি নয়, সেরকম ধারণা মনের মধ্যে তৈরি হয় এবং রোগীর দৈনন্দিন জীবন সেই ধারণার দ্বারা পরিচালিত হয়।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ‘অ আ ক খ’ হল পর্যবেক্ষণ। ডিপ্রেশনের চিকিৎসাও সেখান থেকেই শুরু হয়। চোখকান খোলা রাখা, রোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ নেওয়া ও লিপিবদ্ধ করাই হচ্ছে সঠিক চিকিৎসার প্রাথমিক সোপান। এটির আজও কোন বিকল্প নেই এবং ভবিষ্যতেও হয়তো থাকবে না। বিশেষতঃ মনোবিজ্ঞানে এই পারদর্শিতাটি রোগ নিরাময়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যেহেতু এখানে ‘কথা’-ই রোগ-নির্ণয়ের উৎস, সেই ‘কথা’-ই অনেকাংশে রোগ নিরাময়ের উপায়ও। এই অনুশীলন ডাক্তারী পাঠক্রমের দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই শুরু হয়। তবে রোজকার রোগী দেখা, তাদের কষ্টের কথা শোনা এবং বোঝার মাধ্যমেই এই বিশেষ ক্ষমতাটি আরো নিঁখুত হয়ে ওঠে।
মানসিক রোগের বিবরণ লিপিবদ্ধ করা (history taking) যদিও অন্যান্য রোগের বিবরণ লিপিবদ্ধ করার থেকে অনেকাংশেই আলাদা, মূল সারবস্তুটি কিন্তু একই: ক্রমানুসারে একের পর এক লক্ষণ ও সময়ের সাথে তার বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া নথিবদ্ধ করা, এবং সাথে সাথে সেই লক্ষণগুলির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নথিবদ্ধ করা। এই আপাত নিরীহ কাজটিই অনেক সময় জটিল হয়ে ওঠে, যখন বিভিন্ন লক্ষণ একসাথে এসে উপস্থিত হয়, এবং অনেকদিন ধরে থাকার কারণে কোনটি আগে এসেছিল এবং কোনটি পরে এসেছিল, সেটি মনে করতে রোগী বা রোগীর বাড়ির লোকদের অসুবিধে হয়, বা বহুক্ষেত্রেই ভুল হয়। এই বিষয়ে আরও যে কথাটি মনে রাখা দরকার তা হল ‘temporal correlation of events’। অর্থাৎ, সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিটির জীবনে ঘটা বিভিন্ন ঘটনাগুলির পারস্পরিক সম্পর্ক ও তার গুরুত্ব বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে অনুধাবন করা এবং সুচারুভাবে নথিবদ্ধ করাই এক অভিজ্ঞ মন-চিকিৎসকের বৈশিষ্ট্য। বিষয়বস্তু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকলে তবেই এই বিশেষ ক্ষমতাটি আসে। বিভিন্ন ধরনের রোগী দেখা এবং ক্রমাগত অনুশীলনের মাধ্যমে এই ক্ষমতাটি আরো নিখুঁত হয়ে ওঠে। অধ্যয়ন ও অনুশীলনই হচ্ছে একজন চিকিৎসকের পথ চলার পাথেয় এবং এখানে শেখার কোন শেষ নেই।
Read more: স্ট্রেস: কী? কেন? কীভাবে? কী করণীয়?
চিকিৎসার পদ্ধতি হিসেবে আরো যে দুটি বিষয়ের উল্লেখ একান্তভাবে জরুরী তা হলো – এক, চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা নির্ণয় করা (অর্থাৎ ভর্তি করে নাকি আউটডোর হিসেবে চিকিৎসা প্রদান করা), এবং, দুই, আত্মহত্যা / স্বতঃপ্রণোদিত আঘাতের প্রবণতা থেকে সংশ্লিষ্ট রোগীকে রক্ষা করা। অসুখ চিনতে ভুল বা দেরী হলে এই দুটি বিষয়েই সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় ভুল হতে পারে। অর্থাৎ বিপদের গুরুত্ব ও তার সম্ভাবনা নির্ণয় করাতে ঘাটতি থাকতে পারে যার ফলে মারাত্মক বিপর্যয় এমনকি প্রাণহানিও হতে পারে।
ডিপ্রেশন যতক্ষণ অব্দি মাঝারি আকারে থাকে, ততক্ষণ ওষুধের পরিবর্তে সাইকোথেরাপি বা কাউন্সেলিং করেও চিকিৎসা করা যায়। বিশ্বজুড়ে পরিসংখ্যান এটাই বলছে যে ওষুধের মাধ্যমে এবং বিনা ওষুধে চিকিৎসায় সাফল্যের হার প্রায় সমান। কিন্তু চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পূর্ণ বদলে যায় যখন ডিপ্রেশন রোগটি ভীষণ এর পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যখন অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট (antidepressant)-এর প্রয়োগ একান্তই প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। জটিলতার সৃষ্টি হয় যখন অন্য একটি রোগ ডিপ্রেশনের মতন উপসর্গ নিয়ে উপস্তিত হয়। যেমন, সাইকোসিস, বা ‘বাস্তব এর সাথে যোগ না রাখা’ রোগটির সঙ্গে ডিপ্রেশনের কিছু লক্ষণ সাধারণভাবে জড়িত থাকতে পারে। তখন সতর্ক ভাবে রোগীর অসুখের বিবরণ ক্রমানুযায়ী নথিবদ্ধ না করলে এবং সম্যকভাবে রোগটাকে না বুঝলে চিকিৎসায় মারাত্মক ভুল হয়ে যেতে পারে। যেমন, মূল রোগটি যদি সাইকোসিস (psychosis) হয়, সেখানে চিকিৎসার মূল মন্ত্রটি হল ওষুধ, যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় অ্যান্টিসাইকোটিক (antipsychotic) ওষুধ বলা হয়ে থাকে। এই অ্যান্টিসাইকোটিক রাসায়নিক ভাবে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট (antidepressant)–এর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
খুব সঙ্গতভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে, দুটি আলাদা রোগ চিনতে এতখানি ভুল কীভাবে হয়। চিকিৎসকের অসতর্কতার বাইরেও আর একটা জিনিস আছে। মনের চিকিৎসার বহু ক্ষেত্রেই কোনখান থেকে রোগটি শুরু, তা ধরা অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। তার জন্য বহুলাংশেই বাড়ির লোক বা সাথে থাকা মানুষগুলির দেওয়া বক্তব্য বা পর্যবেক্ষণের উপর নির্ভর করতে হয়। আর বাড়ির লোকের চোখে বেশিরভাগ অসুবিধেই ডিপ্রেশন হিসেবে ধরা দেয়; কারণ ‘ডিপ্রেশন’ কথাটি বহুল প্রচলিত (মনের অন্য অসুখ/অসুবিধে/রোগগুলির তুলনায়)। তাই, দুশ্চিন্তার সময়ে বাড়ির লোকদের বর্ণনাকে ঠিক মতন বিশ্লেষণ না করলে মারাত্মক ভুলটি হতে বিশেষ সময় লাগে না। পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে যখন সাইকোসিসের লক্ষণগুলি (যেমন – কথা বলতে না চাওয়া, ঘরের মধ্যে একা একা বসে থাকা, ক্ষিদে কমে যাওয়া, ইত্যাদি) আপাতদৃষ্টিতে ডিপ্রেশনের মতন দেখতে লাগে। চিকিৎসা পদ্ধতির এই কঠিন বাঁকে এসে সঠিক পথ চিনে নেওয়া চিকিৎসকের পক্ষে মোটেও সহজ কাজ হয় না। চিকিৎসকের দক্ষতা, বিবেচনা বোধ ও অভিজ্ঞতাই প্রধান মূলধন হয়ে দাঁড়ায় তখন।
এ না হয় গেলো একটি অসুখের সাথে অন্যটিকে গুলিয়ে ফেলার কথা। বাকি আর কোন কোন মানসিক অসুখ একইরকম সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে? এ প্রসঙ্গে আর যে দুটি অসুখের কথা না বললেই নয়, তা হলো অ্যাডজাস্টমেন্ট ডিসঅর্ডার (adjustment disorder) এবং ডিসোসিয়েটিভ ডিসঅর্ডার (dissociative disorder)। এদের লক্ষণগুলিও অবসাদের মতন লাগতে পারে শুরুতে, কিন্তু দু-ক্ষেত্রেই কাউন্সেলিং বা সাইকোথেরাপি বা কথাবার্তার মাধ্যমে চিকিৎসা আসলে কার্যকরী হয়। বিশেষত, ডিসোসিয়েটিভ ডিসঅর্ডার রোগটির ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং পদ্ধতি অনেকাংশেই আলাদা।
এতক্ষণ বললাম তথাকথিত ‘বিশুদ্ধ’ মনোবিজ্ঞানের অসুখগুলির কথা। এই লেখায় আর যা না বললে লেখাটি সম্পূর্ণ হবে না, তা হলো অন্যান্য মেডিক্যাল বা শারীরবৃত্তীয় অসুখগুলি থেকে ডিপ্রেশন হওয়া। অসুখ হলে আমাদের সকলেরই খুব মন খারাপ হয়, কিন্তু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে তা আলাদা করে অবসাদ রোগটির (clinical depression) আকার নিতে পারে, যার জন্য আলাদাভাবে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। উল্লেখ্য তালিকাটি বেশ লম্বা, তবে যে অসুখগুলির কথা বিশেষ ভাবে মনে রাখা দরকার তা হলো ডায়াবেটিস, কিডনীর ক্রনিক অসুখ, কিছু প্রকার ক্যান্সার, বিভিন্ন প্রকার সংক্রামক রোগ – যেমন এডস্, এবং গ্রন্থি জনিত অসুখগুলি যেমন থাইরয়েড ও প্যারাথাইরয়েড জনিত অসুখগুলি। শুনতে অবাক লাগলেও ক্ষেত্রবিশেষে বিভিন্ন প্রকার ওষুধও ডিপ্রেশন-এর লক্ষণগুলি ডেকে আনতে পারে। যেমন রক্তের লিপিড কম করার ওষুধ (স্ট্যাটিনস্), বিভিন্ন হার্ট-এর অসুখের ওষুধ, কেমোথেরাপির ওষুধ। এ সব ক্ষেত্রে সবচেয়ে আগে মূল অসুখ বা কারণটিকে চেনা দরকার, তারপর সম্পূর্ণ চিকিৎসা (দরকার হলে ঔষধ সহকারে) করা প্রয়োজন; কারণ মূল আগুনটি যতক্ষণ না নেভানো হচ্ছে, ততক্ষণ ধোঁয়া বন্ধ হবে না।
(প্রচ্ছদের ছবি: শিল্পী – রামিজ রেজা। “The flawed teenager: tumbler” দ্বারা অনুপ্রাণিত।)
Read more: অটিজম-এর কি একটাই দাওয়াই?
বাংলায় অটিজম নির্ণয়ের প্রশ্নাবলী
লেখাটি অনলাইন পড়তে হলে নিচের কোডটি স্ক্যান করো।
Scan the above code to read the post online.
Link: https://bigyan.org.in/depression