09-05-2025 12:56:08 pm

print

 
বিজ্ঞান - Bigyan-logo

বিজ্ঞান - Bigyan

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের এক বৈদ্যুতিন মাধ্যম
An online Bengali Popular Science magazine

https://bigyan.org.in

 

মিউজিয়াম পরিক্রমা: বোস ইনস্টিটিউট মিউজিয়াম


%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%98%e0%a7%8b%e0%a6%b7
স্বাগতা ঘোষ

(সেন্ট্রাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর জুট অ্যান্ড অ্যালাইড ফাইবার্স, কলকাতা )

 
12 Oct 2018
 

Link: https://bigyan.org.in/bose-institute-museum

%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%89%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a7%8b%e0%a6%b8-%e0%a6%87%e0%a6%a8

রেডিও গবেষণায় জগদীশচন্দ্র বসু-র অবদান উল্লেখযোগ্য। ১৮৯৫ সালে তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ (মিলিমিটার ওয়েভ) আবিষ্কার করেন। কোন তার ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সেই তরঙ্গ প্রেরণ করে দেখান। সেই যন্ত্রপাতি ও তাঁর ব্যবহৃত অনেক জিনিস বসু বিজ্ঞান মন্দিরের সংগ্রহশালায় বা মিউজিয়ামে গেলে দেখা যেতে পারে। সেই মিউজিয়ামের কিছু ছবি বিজ্ঞানের পাতায় রইল দর্শক বন্ধুদের জন্য।

১৯১৭ সালের ৩০শে নভেম্বর আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৮-১৯৩৭),তাঁর জন্মদিনে কলকাতায় বোস ইন্সটিউট বা বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।

রেডিও গবেষণায় জগদীশচন্দ্র বসু-র অবদান উল্লেখযোগ্য। ১৮৯৫ সালে তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ (মিলিমিটার ওয়েভ) আবিষ্কার করেন। কোন তার ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তা প্রেরণ করে দেখান। তিনিই সর্বপ্রথম রেডিও তরঙ্গ শনাক্ত করতে সেমিকন্ডাক্টর জাংশন ব্যবহার করেন। এখনকার সময়ে ব্যবহৃত অনেক মাইক্রোওয়েভ যন্ত্রাংশও তিনি আবিষ্কার করেন। বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ তথ্যের আদান প্রদান ঘটে মূলত এই ওয়েভের মাধ্যমেই।

এছাড়াও ১৯০১ সালে আরেক যুগান্তকারী গবেষণায় তিনি প্রমাণ করেন যে উদ্ভিদও প্রাণীর মতো বাহ্যিক প্রভাবকের প্রভাবে সাড়া দিতে সক্ষম। উদ্ভিদও যে শব্দ, তাপ, শীত, আলো ও অন্যান্য বাহ্যিক উদ্দীপনায় সাড়া দিতে করতে পারে তা তিনি প্রমাণ করেছিলেন ক্রিস্কোগ্রাফ (Crescograph) নামক বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে। এই যন্ত্রটির বিশেষত্ব হল, এটি বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদে উৎপন্ন উদ্দীপনাকে রেকর্ড করতে পারে। বোস ইন্সটিউট বা বসু বিজ্ঞান মন্দিরের সংগ্রহশালায় এই সমস্ত যন্ত্র যত্ন সহকারে রাখা আছে।

সেই যন্ত্রপাতি ও তাঁর ব্যবহৃত অনেক জিনিস বসু বিজ্ঞান মন্দিরের সংগ্রহশালায় বা মিউজিয়ামে গেলে দ্যাখা যেতে পারে। সেই মিউজিয়ামের কিছু ছবি বিজ্ঞানের পাতায় রইল দর্শক বন্ধুদের জন্য।

আপনি কি সম্প্রতি কোনো মিউজিয়ামে গেছিলেন? আপনার নিজের তোলা ছবি থাকলে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা সহ আমাদের পাঠান। সম্পাদকমন্ডলীর পছন্দ হলে তা প্রকাশিত হবে এখানে। 

কৃতজ্ঞতা স্বীকার: বোস ইনস্টিটিউট মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ

তথ্যসূত্র: বোস ইনস্টিটিউট ওয়েবসাইট  

 

জগদীশচন্দ্র বসু-কে নিয়ে আরো লেখা: আজও জগদীশচন্দ্র

 

 

লেখাটি অনলাইন পড়তে হলে নিচের কোডটি স্ক্যান করো।

Scan the above code to read the post online.

Link: https://bigyan.org.in/bose-institute-museum

print

 

© and ® by বিজ্ঞান - Bigyan, 2013-25