09-05-2025 00:33:55 am

print

 
বিজ্ঞান - Bigyan-logo

বিজ্ঞান - Bigyan

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের এক বৈদ্যুতিন মাধ্যম
An online Bengali Popular Science magazine

https://bigyan.org.in

 

দশে পা ‘বিজ্ঞান পত্রিকা’-র!


%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%a3%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%b2%e0%a7%80
বিজ্ঞান সম্পাদকমণ্ডলী

(Bigyan editorial team)

 
09 Mar 2018
 

Link: https://bigyan.org.in/bigyan-patrika-10

%e0%a6%a6%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%be-%e2%80%98%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e2%80%99

Download PDF

Download epub

নয় নয় করে আটকে না থেকে ‘বিজ্ঞান পত্রিকা’ -র দশম সংখ্যা প্রকাশিত হল। আমাদের ‘বিজ্ঞান’ ওয়েবসাইটে পূর্বে প্রকাশিত কিছু বাছাই করা  লেখাকে এক জায়গায় গুছিয়ে পরিবেশন করা  এই ত্রৈমাসিক পত্রিকার মূল উদ্দেশ্য। পত্রিকার এই সংখ্যায় ‘বিজ্ঞান’-এর কর্মকাণ্ডে জড়িত স্বেচ্ছাসেবীদের ভূমিকা এবং আরো বিজ্ঞানরসিক স্বেচ্ছাসেবীর অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখেই কিছু কথা বলছি।

‘বিজ্ঞান’-এর পরিবারের ব্যাপ্তি আজ বিশ্বজুড়ে। পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে থাকা পাঠক, গবেষক, লেখক, শিল্পী, প্রযুক্তিবিদ এবং প্রচারক সবাই একজোট হয়ে সব সময় চেষ্টা চালিয়ে চলেছি কি ভাবে বিজ্ঞানের মজাকে  আরো বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, আমাদের একান্ত আপন মাতৃভাষা বাংলায়। আমাদের উদ্দেশ্য যেমন, “প্রচার ও প্রসার”, ঠিক তেমনই প্রকাশিত লেখার বিজ্ঞান ভিত্তিক উচ্চমান বজায় রাখা আমাদের মূল নীতি। ‘বিজ্ঞান’ তার উদ্দেশ্যে যতটুকু এগোতে পেরেছে তার মূল কারণ হল  স্বেচ্ছাসেবীদের নিরলস পরিশ্রম। আবার, অনেক বিজ্ঞানপ্রেমী ‘বিজ্ঞান’ পরিচালনার দলে সরাসরি যুক্ত না থেকেও নানা কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞানকে সম্মৃদ্ধ করে চলেছেন ওয়েবসাইটের জন্মের শুরু থেকে। তাঁদের প্রতি আমরা  আন্তরিক ভাবে চির কৃতজ্ঞ।

‘বিজ্ঞান’-এর পথ চলা শুরু হয়েছিল প্রায় চার বছর আগে ভারতের জাতীয় বিজ্ঞান দিবস ২৮-শে ফেব্রুয়ারী, ২০১৪ থেকে। শুরু হয়েছিল মাত্র চারজনকে সঙ্গে করে আর পুঁজি ছিল মাত্র গুটি কয়েক লেখা, তাও বেশির ভাগ লেখা ছিল উদ্যোক্তাদের নিজেদের। আমাদের সৌভাগ্য কিছুদিনের মধ্যেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বেশ কিছু বিজ্ঞানের অধ্যাপক, গবেষক, স্কুল শিক্ষক, বিজ্ঞানের বার্তাবাহক, চিকিৎসক, এমনকি কিছু চিত্র ও অঙ্কনশিল্পীও। যার ফলে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। গবেষণাজগতে ব্যবহৃত peer-review পদ্ধতিতে প্রকাশিত লেখার বৈজ্ঞানিক গুণমান নজর এড়ায়নি অনেকের। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে যুক্ত হয়েছেন অনেক গবেষক এবং বিজ্ঞান রসিক। পরিশ্রম করে চলেছেন বিজ্ঞানের মানোন্নয়নে।

‘সবে মিলে করি কাজ’ করতে গিয়ে জন্ম নিতে শুরু করে অনেক পরিকল্পনার। যেমন, ‘পুরাতনী’ বিভাগ শুরু হল বাংলাভাষার সেরা কিছু জনপ্রিয় বইয়ের ডিজিটাল আর্কাইভ গড়ে তোলার লক্ষ্যে। প্রথম কাজ হল গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য রচিত ‘বাংলার কীট-পতঙ্গ’ বইটির ডিজিটাল আর্কাইভ তৈরী। কিন্তু এত বড় একটি বই বাংলায় টাইপ করা তো অনেক সময় সাপেক্ষ! উপায় একটাই, প্রচুর স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে কাজ ভাগ করে নেওয়া। ফেসবুকে পরিকল্পনার কথা জানাতেই মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন কুড়ি জন সম্পুর্ণ  অপরিচিত বিজ্ঞানপ্রেমী। ‘বিজ্ঞান’-এর নানা বিভাগ – ‘পাঠকের দরবার’, ‘বিজ্ঞান পত্রিকা’ ইত্যাদি শুরু হয়েছে ঠিক একই ভাবে – কিছু স্বেচ্ছাসেবীর উৎসাহে ও দায়িত্বে।

আজ, জন্মের চার বছর পরে, ‘বিজ্ঞান’ বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাঙালী বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানপ্রেমীর একত্রিত হওয়ার এক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। আমাদের জ্ঞানমতে এমন মঞ্চ বাংলায় আগে তৈরি হয়নি। এই মঞ্চের মাধ্যমে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রসারের ক্ষেত্রে অনেক নতুন পরিকল্পনা নিতে পারব বলে আমাদের আশা। এখনই আমাদের হাতে রয়েছে বেশ কিছু পরিকল্পনা, যেমন অডিও বুক, ইংরাজী অ্যনিমেশন ভিডিওর বাংলা সাবটাইটেল, ইংরাজী কিছু অার্টিকলের বঙ্গানুবাদ, আরও অনেক পুরাতন বইয়ের ডিজিটাল আর্কাইভ তৈরী করা, গ্রাফিক আর্টস এবং সর্বজনীন প্রচার।  বর্তমান কার্যকলাপ বজায় রেখে নতুন পরিকল্পনার উপর কাজ করতে লাগবে অনেক উৎসাহী স্বেচ্ছাসেবক। ‘বিজ্ঞান পত্রিকা’-র দশম সংখ্যার সাথে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি পাঠকদের আমাদের কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করার জন্য।

বিজ্ঞান অলাভজনক অর্গানাইজেশন  এবং উদ্দেশ্য শিক্ষামূলক। আমাদের সাধ অনেক, কিন্তু সাধ্য সীমিত। তাই সেই সীমিত সাধ্যকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করতে দরকার আপনাদের। আসুন না সেই স্বপ্নের ‘বিজ্ঞান ভিত্তিক সমাজ’ গড়ে তুলতে এবং বাস্তবের রূপ দিতে আমরা সবাই একজোট হই। যোগাযোগের জন্য তো রয়েছে আমাদের ই-মেইল [email protected]।

এবার আসুন বিজ্ঞান পত্রিকার দশম সংখ্যার লেখাগুলি ভাগ করে নি আপনাদের সাথে। ফিরে যাই জ্যামিতির গোড়ার দিনগুলোতে এবং ইউক্লিড-এর হাত ধরে একটা একটা স্বতঃসিদ্ধ জুড়ে তৈরী করি আমাদের পরিচিত জ্যামিতিকে। কিংবা করেই ফেলি সেই প্রশ্নটা যেটা হয়তো মাথায় উঁকি মারছে: মৌলিক বিজ্ঞানচর্চা করে কি হবে মশাই?  কোন কাজে আসে এই  গবেষণা? ওদিকে ভারতের  কিছু শহরে যে আজ নিঃশ্বাস নেওয়া দুষ্কর হয়ে গেছে, সেই সত্যিটার সাথেও মুখোমুখি হওয়া যাক। কিংবা আশার পথ খোঁজা যাক কয়লার পরিবর্তে সৌরশক্তির উপর আরো নির্ভরশীল হয়ে। আর যদি এই ভারী বিষয়গুলো থেকে একটু ব্রেক-এর দরকার হয়, স্কুলের বিজ্ঞান-এর একটা ধাঁধা নিয়ে একটু ভাবা যাক: টেবিল-চেয়ার-পৃথিবী এরা এতটা জায়গা জুড়ে আছে, অথচ নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রে এদের বিন্দু হিসেবে ধরলেই চলে, এটা কি করে হচ্ছে?

তাহলে ওই কথাই রইলো। চুটিয়ে পড়ুন এবং বন্ধুবান্ধব, ছাত্রছাত্রী, পাড়ার সাইন্স ক্লাবের সদস্যদের পড়ান। এবং সেই সাথে যদি আমাদের সাথে মাঠে নামতে চান ‘বিজ্ঞান’-কে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে, তাহলে আমরা খুবই খুশী হবো। আবার বলছি, যোগাযোগের জন্য আমাদের ই-মেইল ঠিকানা:  [email protected]।

লেখাটি অনলাইন পড়তে হলে নিচের কোডটি স্ক্যান করো।

Scan the above code to read the post online.

Link: https://bigyan.org.in/bigyan-patrika-10

print

 

© and ® by বিজ্ঞান - Bigyan, 2013-25