21-12-2024 12:04:26 pm
Link: https://bigyan.org.in/alexis-gambis
প্রশ্নকর্তা:
বিজ্ঞানের শ্রোতাদের তরফ থেকে ড: আলেক্সিকে স্বাগত জানাই। পরিচয় করিয়ে দি, ড: আলেক্সি রকেফেলার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মলিকুলার জেনেটিক্সে পি. এইচ. ডি. করেছেন। বর্তমানে, উনি এন. ওয়াই. ইউ., আবু ধাবিতে জীববিদ্যা ও ফিল্ম, এই দুটি বিষয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর।
আলেক্সি:
অনেক ধন্যবাদ আমাকে এখানে ডাকার জন্য।
আমাদের প্রথম প্রশ্ন হলো, আপনি এই যে ছবিটি বানালেন, ‘দ্য ফ্লাই রুম’, তা আপনার এই চলচ্চিত্রের জগতে যাত্রাটা শুরু হলো কোত্থেকে?
রকেফেলারে আমি আমার বৈজ্ঞানিক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম ড্রসোফিলার গবেষণা দিয়ে আর এই মডেল অরগ্যানিজমটাকে নিয়ে আমি খুবই উৎসাহিত হয়ে পড়েছিলাম। শুরুর দিকে আমার কাজটা ছিল এদের স্বভাবচরিত্র, বিশেষ করে এদের সারকেডিয়ান ছন্দ নিয়ে মাথা ঘামানো। কিন্তু, পি. এইচ. ডি. পেলাম এমন একটা ল্যাবরেটরিতে যেখানে মূল গবেষণার বিষয় ছিল এদের দর্শনতন্ত্রের গঠন। কিভাবে এরা বাইরের জগৎকে দেখে।
মাছি নিয়ে এই গবেষণার মধ্যে দিয়েই আমি সিনেমায় ঢুকে পড়ি। কয়েকটা ফিল্ম বানালাম, যেখানে মাছিই প্রধান চরিত্র। এটা করতে গিয়ে মাথায় সিনেমার ভূত চাপলো। শুরু হলো বিজ্ঞানের জগতে থেকেই একটা ফিল্ম ক্যারিয়ার তৈরির চেষ্টা।
আপনি যখন বিজ্ঞান নিয়ে চলচ্চিত্র বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এই প্রশ্নটা করি। আপনার কি মনে হয়, বিজ্ঞানের প্রচার আজকের সমাজে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞান প্রচার নিয়ে যেটা মাথায় রাখতে হবে, সেটা হলো — প্রচার মাধ্যমটা বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। বিজ্ঞানের সংবাদ নানাভাবে আসতে পারে আপনার কাছে। আরেকটা ব্যাপার আমার মনে হয়। ব্যাপক সংখ্যায় লোকের কাছে পৌঁছনো এবং তাদের কাছে বিষয়বস্তুগুলোকে আকর্ষণীয় করে তোলাটা নিঃসন্দেহে জরুরি। কিন্তু, সেটা করতে গিয়ে লোকে বুঝবে কিনা, সেই চিন্তাটা কেমন প্রাধান্য পেয়ে বসে। বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলোকে হজমসাধ্য করতে গিয়ে চটকে ফেলা বা বিজ্ঞান নিয়ে ক্লিশে তৈরী করার একটা প্রবণতা থাকে। সেটা না করে একটা মাঝামাঝি জায়গায় হয়ত পৌঁছনো যায়।
আমি নিজে যেমন ঠিক বিজ্ঞান প্রচারের কথা ভেবে চলচ্চিত্র বানাই না। আমি চলচ্চিত্র বানাই গল্প বলতে। আমার মনে হয়, বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীদের গল্প নিজেদের ক্ষমতাতেই আকর্ষণীয়। আলাদা করে তার উপর কারসাজি করতে হয়না। আর এর থেকেই আমি চলচ্চিত্র বানানোর অনুপ্রেরণা পাই।
আচ্ছা, বিজ্ঞান প্রচারের জন্য আপনার পছন্দের মাধ্যম কি? ধরুন, ভিডিও বা অডিও, কোনটা বেশি পছন্দ করেন? আর তার মধ্যেও, কিভাবে পরিবেশন করতে ভালবাসেন আপনি: ডকুমেন্টারী স্টাইলে সত্যিটাকে যেমন দেখছি তেমন দেখানো, না একটা কাল্পনিক কাহিনীর মধ্যে দিয়ে?
আমি এন. ওয়াই. ইউ., আবু ধাবিতে ‘ডকু-ফিকশন’ বলে একটা বিষয় পড়াই। তার মোদ্দা কথাই হলো, নির্ভেজাল ডকুমেন্টারী বলে কিছু হয় না। অর্থাৎ এমন একটা ডকুমেন্টারী যেখানে পরিবেশনের মধ্যে ছিটেফোঁটাও পক্ষপাত নেই। আবার তেমনই, একদম কাল্পনিক ফিল্মও হয়না। কোথাও কোথাও একটা ফিল্ম ঘোর বাস্তবের মধ্যেই আস্তানা গেড়ে আছে। তাই, ডকুমেন্টারীই হোক কি ফিল্ম, আমরা কিন্তু বাস্তবকে সৃষ্টি করার তালেই আছি। মুখে বলি বটে যে এটা কাল্পনিক ফিল্ম, ওটা ডকুমেন্টারী। কিন্তু, ডকুমেন্টারীতেও তো আগে থাকতে ঘটনা সাজাতে হয়। ধরুন, যখন কারো ইন্টারভিউ নিচ্ছেন, কি কোনো সাজানো দৃশ্য দেখিয়ে আসল ঘটনার সাথে তুলনা করছেন। তাই, ওই কৃত্রিম বিভেদটাকে আমি মুছে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করি।
তবে, আমার পছন্দের মাধ্যম কি? এটা খুব ভালো প্রশ্ন। ছবি আর শব্দ যে সবসময় অবলীলায় একসাথে কাজ করেনা, এটা আমার কাছে একটা ইন্টারেষ্টিং ব্যাপার মনে হয়। একই জিনিস অনুভব করার দুটো সম্পূর্ণ আলাদা মাধ্যম যেন। আমি নিজে যখন ফিল্ম বানাই, শব্দের উপর জোর দিই। ‘দ্য ফ্লাই রুম’-এর কথাই যদি ধরেন, মাছির শব্দে ছেয়ে আছে। এগুলো আলাদা করে রেকর্ড করেছিলাম কন্টাক্ট মাইক্রোফোনের সাহায্যে। তারপর সেটা কোন কোন জায়গায় ব্যবহার করা যায়, সেই নিয়ে অনেক ভেবেছিলাম। আলাদা করে মিউজিক নয়, শব্দটা পরিবেশের একটা অঙ্গ হয়ে উঠুক, এটাই চাই আমি।
এক কথায়, আমি আলাদা আলাদা করে ছবি আর শব্দ নিয়ে ভাবি। তারপর দেখি তাদের একসাথে কিভাবে পরিবেশন করা যায়।
ভবিষ্যত প্রজন্মের বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রচারকর্তাদের জন্য কিছু পরামর্শ দিন। শুধু দিনরাত বিজ্ঞান গবেষণা নয়, সেই গবেষণার কথা বৃহত্তর সমাজে কিভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায়?
কোনো একভাবেই করতে হবে সবকিছু, এমন কোনো কথা নেই। বিজ্ঞানী হলে চেষ্টা করুন, যতটা যোগাযোগ রাখা যায় বৃহত্তর সমাজের সাথে। বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা-আলোচনায়, টিভি কি রেডিও শো-তে, আপনি লোকজনকে বলুন আপনার গবেষণার কথা। ঠিক করছেনটা কি, সেটা জানান। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, লোকে সবচেয়ে বেশি শুনতে চায় আপনার ফার্স্টহ্যান্ড গল্পগুলো। আপনি বিজ্ঞানের জগতে ঢুকলেন কি করে, আপনার গবেষণা কি আপনার ব্যক্তিগত জীবনের সাথে কোনভাবে জড়িত, আপনি বিজ্ঞানের এই বিষয়টাকেই বেছে নিলেন কেন, এই মডেল অরগ্যানিজমকে নিয়ে আপনার উৎসাহ কোথায়, ইত্যাদি, ইত্যাদি। কিছু বিজ্ঞানীর সাথে কথা বললে তাজ্জব লাগে, তাঁরা ঘন্টার পর ঘন্টা ঈস্ট, জেব্রাফিস, সি এলিগ্যান্স-এর মত মডেল অরগ্যানিজমদের নিয়ে কথা বলে যেতে পারেন, এমনই নেশা তাঁদের। এইভাবেই আমার মনে হয় পৌঁছতে পারবেন আপনার শ্রোতাদের কাছে।
আর একটা কথা। এই যে একটা ধারণা আছে যে গবেষণার পাইপলাইনে ফিনিশড প্রোডাক্টটা নিয়েই কথা বলতে হবে, সেটাকেও চ্যালেঞ্জ করা প্রয়োজন। পদ্ধতিটা নিয়েও কথা বলা জরুরি। গবেষণাগারে রোজ গিয়ে আপনি কি করেন, তারপর বেসিক সাইন্স করার মানে কি, এইসব নিয়ে কথা বলা হয়না। যে গবেষণার কোনো উপযোগিতা তক্ষুণি পাওয়া যাচ্ছে না, যেমন চিকিৎসার জগতে কোনো ছাপ ফেলছে না, তার কথাও যে বলা উচিত, সেটা আমাদের বুঝতে হবে।
নিজের মনে যে প্রশ্ন জাগছে, তার পিছনে ধাওয়া করা —
হ্যাঁ। যেমন একজন শিল্পী একটা চিত্র কি ভাস্কর্যের মধ্যে দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করে, এখানেও অনেকটা তাই।
আমি নিজের কথা বলার সময় এটাই চেষ্টা করি। যখন আমার বিজ্ঞান থেকে চলচ্চিত্রের জগতে যাত্রার কথা বলি, এটাই বলি যে যাত্রা শুরু হয়েছিল নানারকম ভিজ্যুয়াল সিস্টেম বোঝার মধ্যে দিয়ে। সেখান থেকে এলো ক্যামেরা, কিভাবে চোখে দেখা ছবিকে চিনতে পারে মস্তিষ্ক, ইত্যাদি, ইত্যাদি। এটাই আমার গল্প।
আচ্ছা, আপনি এই যে বলছেন, গবেষকদের বিজ্ঞান নিয়ে উন্মাদনাটা জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে, এতে ভাষার একটা বড় ভূমিকা থেকে যাচ্ছে। অনেক দেশেই, সমাজের একটা বড় অংশ বিজ্ঞানচর্চার প্রধান ভাষা অর্থাৎ ইংরাজি জানে না। চীন কিম্বা জাপানে তো বিজ্ঞানচর্চা তাদের ভাষাতেই হয়। আপনার কি মনে হয়, ইংরাজির বাইরেও স্থানীয় ভাষায় বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে?
খুব ভালো প্রশ্ন। আমার মতে, যেভাবে আমরা বিজ্ঞানের কথা বলি, যে ভাষায় বলি, সেটাও বিজ্ঞানেরই একটা অঙ্গ। এখন যেখানে আছি আমরা, ইংরাজিই বিজ্ঞান আলোচনার প্রধান ভাষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু, লোকে বিজ্ঞান গবেষণাকে কিভাবে নিজের মত করে বুঝবে, তার মধ্যে ভাষার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। শুধু তাই নয়, পরিবেশনের ভাষা অনেকক্ষেত্রে বিজ্ঞানের গবেষণাকেও নতুন মাত্রা দিতে পারে।
সুতরাং, স্থানীয় ভাষায় আরো ভিডিও তৈরী হোক, এটাই আমি চাইবো। বিশেষ করে ভিডিওর ক্ষেত্রে এটা একটা সমস্যা — বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা ইংরাজিতে হবে, এমন একটা প্রত্যাশা থেকেই যায়। যেন আর কোনো ভাষায় হতে পারে না। অথচ, একটা বিজ্ঞানের কনসেপ্টকে বোঝাতে যে উপমা ব্যবহার করি, যে চিত্রণগুলো করি, সেগুলো তো বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিভিন্নরকম। এখন আপনি যদি শুধু ফ্যাক্টগুলোকে ধরেন, তাহলে তা সব সংস্কৃতিতেই এক। কিন্তু, তার বাইরে আমাদের বিজ্ঞানের দরবারে ভাষাগত বা সংস্কৃতিগত পার্থক্যগুলোকে সাদরে অভ্যর্থনা করা উচিত।
আমরা আপনার মুভি ‘দ্য ফ্লাই রুম’-এর কথা জানি। এছাড়া আপনি আর কি কি প্রজেক্ট নিয়ে ভাবছেন, সেগুলো যদি আমাদের শ্রোতাদের একটু বলেন।
আপাতত আমার কিছু সময় যায় বায়োলজি বা ফিল্ম নিয়ে পড়ানোতে, কিছুটা সময় যাচ্ছে একটা সাইন্স ফিল্ম ফেস্টিভালের আয়োজনে। কিন্তু, ফিল্ম বানানোটাই আমার ধ্যানজ্ঞান। আর ফিল্মের ব্যাপার কি জানেন, যত বানাবেন বা দেখবেন, তত মাথায় আরো নতুন ফিল্মের আইডিয়া তৈরী হবে।
আর বিভিন্ন মহলে আমার ফিল্মটাকে প্রদর্শন করে আমার অভিজ্ঞতাও বেড়েছে এখন। আমি ফিল্মটা ইরানেও দেখিয়েছি, আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও দেখিয়েছি। এবং সম্পূর্ণ আলাদা প্রতিক্রিয়া পেয়েছি দর্শকদের থেকে।
আলাদা কিরকম?
কিছু জায়গায় দর্শকদের দেখানোর আগে কাটছাঁট করতে হয়েছিলো। তারপর, দর্শক যদি বিজ্ঞান-সচেতন হয়, এমন কিছু খুঁটিনাটি নিয়ে বিমুগ্ধ হয়ে পড়ে যেগুলো আমি ভাবিইনি। যত দেখছি, তত শিখছি আমি।
আপাতত, আমি দুটো জিনিস নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি। এক হলো, প্রাণীদের সিনেমায় কিভাবে ব্যবহার করা যায়। এমন ছবি কি বানানো যায়, যেখানে প্রাণীরাই অভিনেতা, তাদের দৃষ্টিভঙ্গিটাও ছবিরই একটা অংশ। এই ছবিটাতে সেই জিনিসটা কিছুটা দেখতে পাবেন। একটা মাছির চোখে এই দুনিয়াটা কেমন, সেটা কিছুটা আছে। আমার আরেকটা ভাবনা হলো, বিজ্ঞানীদের নানা চরিত্রে কাস্ট করা। বিশেষ করে বিজ্ঞান-সম্পর্কিত ছবিগুলোতে এটা খুব জরুরি, কারণ তাতে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।
দুটো সিনেমা নিয়ে কাজ করছি আমি। পরের ছবিটা স্মৃতিশক্তি নিয়ে। ইঁদুরের উপর স্মৃতিশক্তি নিয়ে বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। আমাদের মস্তিস্কের একটা অংশের নাম অ্যামিগডালা, স্মৃতি আর আবেগের মধ্যে সেতুবন্ধন করে। এই অ্যামিগডালা নিয়ে গবেষণা করতে করতে এক বিজ্ঞানীর ব্যক্তিগত জীবনও প্রভাবিত হয়ে পড়ে। সে তার বাবাকে গবেষণার ইঁদুরের সাথে গুলিয়ে ফেলে।
খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে শুনতে।
ইন ফ্যাক্ট, সে নিজের স্মৃতির অংশটাকেও একটা ইঁদুরের মধ্যে সৃষ্টি করতে বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠে। অর্থাৎ, নিজেকে এবং নিজের বাবাকে সে ইঁদুর-জগতে রিক্রিয়েট করার চেষ্টা করে। এই করতে গিয়ে সব কিছু হাতের বাইরে চলে যায়। এর বেশি আর বলছি না।
আরেকটা ছবি ‘সন অফ মোনার্কস’, মোনার্ক প্রজাপতিদের ইভোলিউশন আর ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজি নিয়ে (EvoDevo – Evolutionary Developmental Biolgoy )। স্যন ক্যারলের কিছু কাজের উপর। স্যন ক্যারল আমার কাজে অনেক সহযোগিতা করেছেন।
কিন্তু, ফীচার-লেংথ ফিল্ম বানাতে সময় লাগে। অনেক সময় বেশ কিছু বছর লেগে যেতে পারে। তাই আমি শর্ট ফিল্মও বানাই। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ম্যানগ্রোভ নিয়ে একটা ফিল্ম বানাচ্ছি। আরবীয় রূপকথা আর ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা – এই দুটোকে মিলিয়ে।
তো, এই আমার কাজ। সবরকম ফিল্মই বানাই আমি।
দারুন লাগছে শুনে। অধীর আগ্রহে চেয়ে থাকবো আপনার পরবর্তী ছবিগুলোর জন্য। বিজ্ঞানের শ্রোতাদের তরফ থেকে অনেক ধন্যবাদ।
—
পুরো ইন্টারভিউটা শুনুন
বিস্তারিত জানতে:
লেখাটি অনলাইন পড়তে হলে নিচের কোডটি স্ক্যান করো।
Scan the above code to read the post online.
Link: https://bigyan.org.in/alexis-gambis