পদার্থবিদ্যার কিছু বিস্ময়
কার্টুনের মাধ্যমে বিজ্ঞানশিক্ষা

বিজ্ঞানে যুক্তি প্রাধান্য পায় বেশি; আবেগ বা শিল্পের বহিঃপ্রকাশ সেখানে সচরাচর কম। তাই বিজ্ঞান শিক্ষা অনেক ক্ষেত্রেই নবীন মনের কাছে শুকনো মনে হয়। এই সমস্যাটার মোকাবিলা করতেই মাঠে নেমেছেন এক বৈজ্ঞানিক ও এক কার্টুনিস্ট। দুজনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরী হয়েছে পদার্থবিদ্যা শেখার এক অভিনব পদ্ধতি। আজ তারই প্রথম কিস্তি।
ভরের উৎস সন্ধানে

ক্লাসিক্যাল পদার্থবিদ্যায় ভর (mass) একটা মূল ধারণা, যার উৎস নিয়ে আমরা প্রশ্ন করি না। কিন্তু আমরা কি বস্তুর ভরের পরিমাপ তার আরো মৌলিক কোনো ধর্ম থেকে পেতে পারি? আধুনিক কণাপদার্থবিদ্যা ভরের উৎসের যে হদিশ দেয় তার গল্প বলছেন বিজিৎ সিংহ।
মহাবিশ্বের নতুন জানালা

মহাকর্ষীয় তরঙ্গের আবিষ্কার মহাবিশ্বের এক নতুন জানালা খুলে দিয়েছে। কিন্তু এর আগেও অনেক জানালা একে একে খুলেছিলো মানুষের কাছে। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গের গোটা ব্যাপ্তিটাকে মানুষ ব্যবহার করতে শিখেছিল মহাকাশ পর্যবেক্ষণের কাজে। সেই ইতিহাস বলছেন ড: সুদীপ ভট্টাচার্য।
রান্নাঘরের মাইক্রোওয়েভ থেকে প্লাজমা

কঠিন থেকে তরল থেকে গ্যাস, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে পদার্থের দশা পরিবর্তনের এই কাহিনী আমাদের পরিচিত। কিন্তু সূর্যের মতো নক্ষত্রের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রায় পদার্থের দশা কি হয়? যেটা হয়, তাকে বলে প্লাজমা, ইলেক্ট্রন ছিটকে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে তৈরী ধনাত্মক আর ঋণাত্মক আধানের একটা স্যুপ। বিজ্ঞানীরা এই প্লাজমা অবস্থা গবেষণাগারে তৈরী করে তার ওপর পরীক্ষা চালিয়ে থাকেন। কিন্তু সেই পরীক্ষা এখন আমাদের নাগালের মধ্যে চলে আসতে পারে। প্লাজমা অবস্থা তৈরী করতে শুধু চাই একটা মাইক্রোওয়েভ ওভেন।
সুপারকন্ডাক্টারের কাহিনী: সাধারণ তাপমাত্রায় সুপারকন্ডাক্টিভিটীর সন্ধান

শূন্য প্রতিরোধ কিংবা অভ্যন্তরে চুম্বকীয় ক্ষেত্রের বিলুপ্তি, এইসবের কারণে সুপারকন্ডাক্টারকে প্রযুক্তির দিক থেকে এক অভূতপূর্ব আশীর্বাদ হিসেবে ভাবা যায়। একটাই সমস্যা। যে তাপমাত্রায় সুপারকন্ডাক্টিভিটি দশা দেখা যায়, সেই তাপমাত্রায় পৌঁছতেই জটিল সরঞ্জাম লাগবে। তাই আরো উচ্চতর তাপমাত্রায় সুপারকন্ডাক্টিভিটি পাওয়া যায় কিনা, সেই খোঁজ শুরু হলো। এবং সন্ধান পাওয়া গেল কিছু যৌগের, যারা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সুপারকন্ডাক্টিভিটি-র স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রাখলো। সুপারকন্ডাক্টারের কাহিনীর তৃতীয় কিস্তিতে রয়েছে সেই গল্প।
সুপারকন্ডাক্টারের কাহিনী: অক্ষয় বিদ্যুৎপ্রবাহের ব্যাখ্যা ও বি.সি.এস. তত্ত্ব

বস্তুর মধ্যে প্রতিরোধ বা রেসিস্টেন্স-এর কারণ হলো যে স্থির অণুরা ইলেক্ট্রনের পথে বাধা সৃষ্টি করে। তাপমাত্রা খুব কমিয়ে দিলে সেই প্রতিরোধ বেমালুম ভ্যানিশ করে যায় কি করে? এর ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তিন বিজ্ঞানী: জন বার্ডিন, লিওন কুপার ও জন রবার্ট শ্রীফার। তারা দেখিয়েছিলেন যে কম তাপমাত্রায় ইলেক্ট্রন-এর পরিচিত ধর্মকে ছাপিয়ে দেখা দেয় এক সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত আচরণ। তাদের পদবীর আদ্যক্ষরে নামাঙ্কিত বি.সি.এস. তত্ত্ব নিয়ে আজকের আলোচনা।
সুপারকন্ডাক্টারের কাহিনী: অক্ষয় বিদ্যুৎপ্রবাহের উৎস সন্ধান

পরিবাহীর রোধ-এর কথা আমরা স্কুলজীবনে পড়া ওহমের সূত্রের কল্যাণে সকলেই জানি। রোধ তাপমাত্রার সাথে কমতে থাকে। কিন্তু তাপমাত্রা ক্রমাগত কমাতে থাকলে প্রতিরোধক্ষমতা কমতে কমতে কোথায় গিয়ে পৌঁছবে? বহুচর্চিত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে তৈরি হল ইতিহাস – সূচনা হল নতুন অধ্যায়ের। অতিপরিবাহীতা বা সুপারকন্ডাক্টিভিটি – পদার্থবিদ্যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং চাঞ্চল্যকর এই অধ্যায়ের ইতিবৃত্তান্ত শোনাচ্ছেন শমাশিস সেনগুপ্ত ।
বিশৃঙ্খলার গতিবিদ্যা

একটা সময় ছিল যখন আবহাওয়া অফিসের কর্মচারীদের নিয়ে ঠাট্টা তামাশার অন্ত ছিল না। রেডিওতে যেই শোনা যেত “আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলা হচ্ছে …”, অনেক শ্রোতা রেডিও বন্ধ করে দিতেন। কিন্তু আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া এত কঠিন কেন? মাপজোখে যদিবা একটু উনিশ-বিশ হয়, তাই বলে পূর্বাভাস পুরো ঘেঁটে ঘ হয়ে যাবে? কেন সেটা হতে পারে, অঙ্ক কষে সেটা দেখাচ্ছেন অধ্যাপক জয়ন্ত ভট্টাচার্য।