পনেরো-বিশ দিন পরে গুঁটির রং ক্রমশ পরিবর্তিত হতে থাকে এবং কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ফিকে হয়ে যায়। তখন উপরের অবরণটা অনেক স্বচ্ছ হয়ে পড়ে। তখন তার মধ্যে দিয়ে ভিতরের প্রজাপতিটিকে আবছা দেখতে পাওয়া যায় – যেন ডানা মুড়ে রয়েছে। দেখতে দেখতে গুঁটির মধ্যস্থল থেকে নিচের দিকের একাংশ ফেটে যায় এবং তার ভিতর দিয়ে প্রজাপতিটি আস্তে আস্তে মুখ বের করতে থাকে। দু-এক মিনিটের মধ্যেই ডানা বাইরে আসে, তারপর একেবারে প্রজাপতির সমস্ত শরীর বহির্গত হয়। খোলস ত্যাগ করে বাইরে আসবার সময় তার ডানা অতি ক্ষুদ্র অবস্থায় থাকে। লেজের দিকেও সেইরূপ অস্বাভাবিক ক্ষুদ্র কিন্তু মোটা। বাইরে এসেই ক্ষুদ্রকায় প্রজাপতিটি তার পরিত্যক্ত খোলস আঁকড়ে বসে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে শরীরের পশ্চাদ্ভাগ ও ডানাগুলি তরতর করে বাড়তে থাকে। এই সময়ে ডানাগুলি থাকে কোমল ও তকতকে। প্রায় পাঁচ-সাত মিনিটের মধ্যেই স্বাভাবিক প্রজাপতির অবস্থায় পরিণত হয়। বেকায়দায় পড়ে ডানাগুলি একটু এদিক-ওদিক বেঁকে গেলে আর সোজা হবার উপায় থাকে না; স্বাভাবিক অবস্থা প্রাপ্ত হবার পরেও প্রায় ঘন্টাখানেকের উপর প্রজাপতিটি ডানা মুড়ে সেই পরিত্যক্ত খোলসটার উপরেই বসে থাকে। তারপর ডানা একবার প্রসারিত করে আবার গুটিয়ে নিয়ে পরখ করে দেখে ঠিক ওড়বার উপযুক্ত হয়েছে কিনা; তার কিছুক্ষণ পরেই উড়ে গিয়ে ফুলের মধু আহরণে প্রবৃত্ত হয়।
আপনাকে ইমেইল শুধুমাত্র Bigyan.Org.In এর খবরাখবর পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হবে। আপনার তথ্য আমাদের কাছে সুরক্ষিত।