সৌরশক্তির দৌড়ে ভারতের কাহিনী প্রায় অবাস্তব মনে হয়। মাত্র এক বছরের মধ্যে টিমটিমে আড়াই মেগাওয়াট থেকে এক লাফে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য আমরা তৈরী — অবাস্তব নয়তো কি ? ২০১১ অগাস্ট থেকে ২০১২ জুলাই-এর মধ্যে ভারত হাজার মেগাওয়াট-এর সৌর-বিদ্যুত পরিকাঠামো বসিয়ে যে কামাল দেখিয়েছে, তা সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই কাহিনীতে আরও একটা অধ্যায় জোড়া হলো গত জানুয়ারীতে। না, শুধু অধ্যায় বললে কিছুই বলা হলো না। একটা নতুন ইতিহাস তৈরী করতে চলেছি আমরা। রাজস্থানের সাম্ভার অঞ্চলে চার হাজার মেগাওয়াট-এর যে সৌর প্রকল্পটার খুঁটি ফেলা হলো, সেটা পুরোপুরি রূপ নিলে সৌর শক্তিতে ভারত ছাপিয়ে যাবে অনেক তাবড় তাবড় খেলোয়াড়দের।
চার হাজার মেগাওয়াট ! এদিক ওদিক দেখা যাক একটু।ক্যা
লিফর্নিয়া-র মোহাভে মরুভূমিতে যে ন’টা সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র এই রাজ্যটাকে সৌরশক্তি প্রয়োগের একটা দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থাপন করেছে, তাদের দৌড় সব মিলিয়ে সাড়ে তিনশোতেই শেষ। ভারতে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে উত্পাদনক্ষম সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র গুজরাতের চারঙ্ক অঞ্চলে , তা সে দেয় দুশো মেগাওয়াট-এর একটু উপরে। আর এখানে কিনা চার হাজার !
না, এখনো শুরু হয়নি কিছুই। ছটা সরকারী উদ্যোগ (PSU) হাত মিলিয়েছে এই মহাযজ্ঞে নামবে বলে।এর মধ্যে BHEL বা PGCIL -এর নাম হয়ত শুনেছি আমরা। এরা কেউ দেবে জমি, কেউ সরঞ্জাম, কেউবা এখান থেকে উত্পন্ন বিদ্যুত বিতরণের ভার নেবে। এর পর চাই শুধু সরকারের অনুমোদন। প্রচুর উত্সাহ এই প্রকল্পটাকে ঘিরে।হিসেব যদি ঠিক হয়, তাহলে এই সৌর উত্পন্ন বিদ্যুতের ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন কমে যাবে বছরে প্রায় চল্লিশ লক্ষ টনের উপর । যা বোধহয় সবচেয়ে আশাবাদী পরিবেশবিদের-ও স্বপ্নের অতীত ।