(নিচের কল্পকাহিনীটি ড: অত্রি চট্টোপাধ্যায়ের সাথে এক ইন্টারভিউ-এর ভিত্তিতে লেখা। সম্পূর্ণ ইন্টারভিউ-টি এখানে দেখতে পাবেন। গল্পের ডাক্তার কাকু-র চরিত্রটি সেই ইন্টারভিউ-এর অবলম্বনে রচিত।)
তিতির সন্ধ্যেবেলা পড়াশোনা করছে। বাবার বন্ধু ডাঃ অত্রি কাকু ড্রয়িংরুমে বসে আছেন। তিতিরের বাবা রান্নাঘরে তিতির আর কাকুর জন্য টিফিন বানাচ্ছেন। তিতিরের গলার আওয়াজ না পেয়ে বাবা বললেন, “তিতির জোরে জোরে পড়। শুনতে পাচ্ছিনা।” তিতিরও চেঁচিয়ে বলে,“পড়ছিনা। চ্যাপ্টারের অ্যানিমেশন ভিডিও দেখছি তো।” খাবার নিয়ে এসে টেবিলে রেখে বাবা বলেন, “এভাবে ফোন নিয়ে পড়াশোনা হয় না। মনোযোগ থাকে না।” তিতিরও তর্ক জুড়ে দেয়।
হাল ছেড়ে দিয়ে তিতিরের বাবা ডাক্তার কাকুর মুখের দিকে তাকান। “তুমিই বোঝাও, এভাবে ভিডিও দেখে পড়া হয়?” অগত্যা ডাক্তার কাকুকেও মাঠে নামতে হয়। ডাক্তার কাকু ডাক্তারি প্র্যাকটিস ছাড়াও নিউরোলজির অধ্যাপনা করেন। নিউরোলজি অর্থাৎ স্নায়ুতন্ত্রের বিজ্ঞান, মনের বিজ্ঞান। চা-জলখাবার খেতে খেতে ডাক্তার কাকু বলতে শুরু করেন পড়াশোনা এবং দেখাশোনা নিয়ে সেই মনের বিজ্ঞান কী বলে!
“অনেকেই বলেন, লোকের ধৈর্য ধরে বই পড়ার আগ্রহ কমে আসছে। বরং বেশিরভাগই এখন ভিডিও/ রীল ইত্যাদি দেখে দৈনন্দিন আনন্দ বা তথ্যের রসদ খুঁজতে বেশি সাবলীল। মনে পড়ছে একটা গবেষণাপত্রে পড়েছিলাম, হাইস্কুল এবং কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা করতে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু হাতের কাছে মোবাইল ফোনটা কেড়ে নেওয়া হয়নি। দেখা গেছিল, গড়ে প্রতি ৬ মিনিট অন্তর অন্তর ছেলেমেয়েরা মোবাইল ফোন খুলে দেখেছে”, ডাঃ কাকু বলেন।
এই তথ্য শুনে তো তিতিরের বাবা বিজয়ীর হাসি নিয়ে তিতিরের দিকে তাকায়। মুখ গোঁজ করে ডাঃ কাকুর কথা শুনতে থাকে তিতির। তথ্য খানিক বাবার পক্ষে গেলেও তিতির আলোচনায় আগ্রহ পেয়ে শুনতে থাকে।
মনোযোগের দপ্তর
ডাঃ কাকু বলতে থাকেন- “এই মোবাইল খুলে দেখার ইচ্ছেটাকে বুঝতে হলে আমাদের মস্তিষ্ক কিভাবে মনঃসংযোগ করে সেইটা বুঝতে হবে। মনঃসংযোগকে ডাক্তারি ভাষায় বলে attention। এর জন্য আমাদের মস্তিষ্কে একাধিক মনঃসংযোগের দপ্তর বা ministry of attention আছে, ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলে attention network। এই দপ্তরের আবার অনেকগুলো অফিস আছে মস্তিষ্কের বিভিন্ন জায়গায়।”
তিতির প্রশ্ন করে, “একাধিক দপ্তর কেন?”
“একাধিক দপ্তর লাগে কারণ মনঃসংযোগেরও নানা রকম ভাগ আছে। তারা আমাদের রোজকার কাজে নানাভাবে সাহায্য করে।” – ডাঃ কাকু বলেন। “মন দিয়ে একটা বই পড়া – এইটা হলো একধরণের মনঃসংযোগ, একনাগাড়ে মনঃসংযোগ (sustained attention)। বই পড়তে পড়তে হঠাৎ ফোনে মেসেজ এলে আমরা দেখি – এইটা আরেক ধরণের মনঃসংযোগ। এই দুটো মনঃসংযোগের পথ কিন্তু মস্তিষ্কের আলাদা আলাদা জায়গা দিয়ে যায়।”
“এই মনঃসংযোগের বিভিন্ন পথের সন্ধান দেন করবেটা এবং সুলম্যান (Corbetta and Shulman) নামে দুজন গবেষক। গবেষণাটা ছিল আমাদের চোখে দেখা নিয়ে। ওনাদের মূল বক্তব্য ছিল, যখন আমরা কিছু ‘দেখি’, সবসময় শূন্য থেকে শুরু করি না। অর্থাৎ, একেবারে ফাঁকা মস্তিষ্ক নিয়ে দেখিনা। যে জিনিসটা বা দৃশ্যটা আমরা দেখতে চলেছি, তা নিয়ে অনেকসময় আগে থেকে একটা ধারণা থাকে। তাই কি দেখতে চলেছি, সেই নিয়ে একটা প্রত্যাশাও থাকে। এটা হলো লক্ষ্য ভিত্তিক মনোযোগ।”
প্রত্যাশা নিয়ে দেখা
“ব্যাপারটা কী রকম?’’, তিতির প্রশ্ন করে।
“ওনারাই একটা উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা বুঝিয়েছিলেন। দাঁড়াও তোমাকে দেখাই।” বলে ডাক্তারকাকু ফোনে সার্চ করে একটা ছবি বার করলেন।
তিতির চমকে উঠলো ছবিটা দেখে: “ওরে বাবা, একটা ছবিতে কত কি! এটা কিসের ছবি?”
“এই ছবিটা মাদ্রিদের এল প্রাদো মিউজিয়াম-এ “The Garden of Earthly Delights” নামে হায়ারোনিমাস বশ (Hieronymous Bosch)-এর আঁকা একটা ছবি। মনে করো, একজন গাইড এই ছবিটার রঙ, আঁকার ধরন, অন্তর্নিহিত অর্থ সম্পর্কে দর্শকদের বোঝাচ্ছেন। তাঁর প্রতিটি কথা কিন্তু ছবির কোনো একটা বিষয়ের দিকে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। যখন তিনি বলছেন, ‘একটা ছোট্ট প্রাণী একটা বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছে’; তখন দৃষ্টি চলে যায় একটা খরগোশ হর্ণ বাজাচ্ছে, সেইদিকে। দর্শকের আগে থেকে তৈরী প্রত্যাশা তাঁদের মনোযোগকে এতকিছুর মধ্যেও খরগোশের দিকে টানছে।”
“ধরো, তোমায় যদি এখন বলি, ঐ দেখো একটা নতুন স্কুল ব্যাগ দেওয়ালে ঝুলছে। তোমার চোখ চলে যাবে দেওয়ালের দিকে। আসল ব্যাগটা চোখে পড়ার আগেই তুমি ব্যাগটা কোথায় কিভাবে আছে তার একটা প্রত্যাশা বানিয়ে বসে আছো। ব্যাগ কিরকম হয়, কিভাবে জিনিস ঝোলে দেওয়ালে, এসব তোমার জানা। এগুলো হল জ্ঞান, যেটা কাজে লাগিয়ে তোমার মস্তিষ্ক নতুন কিছু দেখার চেষ্টা করছে।”
বিভক্ত মস্তিষ্ক
“কিন্তু এটাই মনোযোগের সবটা নয়।” বলে থামলো ডাক্তারকাকু। তিতির নিজের অজান্তেই দেওয়ালের দিকে দেখছিল, আবার কাকুর দিকে ফিরলো।
“কোনো একটা জিনিস ‘দেখে’ কী উপলব্ধি হচ্ছে (visual perception), সেটা বাহ্যিক উত্তেজনা (external stimuli) দিয়েও নিয়ন্ত্রিত হয়। ধরো, ওই ছবিটা যখন দর্শক খুঁটিয়ে দেখছিল, তখন একটা অ্যালার্ম ঘড়ি বেজে উঠলে। তার মনোযোগ দুম করে সেই দিকে চলে যাবে। এর জন্য কিন্তু তার আগে থেকে কোনো প্রস্তুতি ছিল না।”
“বা পড়তে পড়তে ফোনে নোটিফিকেশন এলেও এরকম হয়।” ফোড়ন কাটলেন তিতিরের বাবা।
“ভুল বলেননি তোমার বাবা। যাইহোক, ওনাদের সেই গবেষণাপত্রে ওনারা দেখালেন, প্রত্যাশাগত কারণে মস্তিষ্কে যে প্রভাব পড়ে, আর সরাসরি বস্তুটা দেখার কারণে মস্তিষ্কে যে প্রভাব পড়ে, সেই দুটোকে আলাদা করা সম্ভব। এমনভাবে পরীক্ষা করা যায় যাতে শুধু একটা প্রভাবই হয়, অন্যটা নয়। পরীক্ষা করে দেখা গেল, যে প্রত্যাশাগত কারণে মস্তিষ্কে একটা বিশেষ অংশে আলোড়ন দেখা যায়। এই আলোড়নটাকে ওনারা নাম দিলেন মনোযোগের টপ ডাউন সিস্টেম (top-down)। অর্থাৎ, মস্তিষ্ক ওপর থেকে একটা নির্দেশ পেয়ে সেই অনুসারে কাজ করছে। আর অপ্রত্যাশিত কিছু এসে পড়লে সম্পূর্ণ অন্য একটা অংশে আলোড়ন দেখা যায়। এটাকে ওনারা বললেন বটম আপ সিস্টেম (bottom-up)। এখানে কোনো উপরওয়ালার নির্দেশ নেই, যখন যেরকম উত্তেজক আসছে তেমন মনোযোগও সেদিকে যাচ্ছে। এক কথায়, ওনারা ‘দেখা’ আর ‘মনোযোগ’ দেওয়া-কে দুটি আলাদা অংশে ভাগ করলেন, যেগুলোর সূত্রও আলাদা, দেখা গেল মস্তিষ্কে অবস্থানও আলাদা।”
প্রত্যাশাগত কারণে মস্তিষ্কে যে প্রভাব পড়ে, সেটাকে সরাসরি বস্তু দেখার প্রভাবের থেকে আলাদা করেছিলেন গবেষকরা।
গোলগোল চোখ করে একমনে তিতির কাকুর কথাগুলো শুনছিল। এমন সময় হঠাৎ রান্নাঘরে বাসন মেঝেতে পড়ে। সবাই চমকে উঠে। আওয়াজে চমকে “ম্যাওওও’’ বলে জানলা গলে পালায় কুকীর্তির কর্তা নিজেই।
সবাই হেসে উঠলে কাকু তিতিরকে বলেন, “দেখো সহজেই উদাহরণ পেয়ে গেলে। এই যে এতক্ষণ মন দিয়ে আমার কথা শুনছিলে কোনো দিকে নজর না দিয়ে, এখানে কাজ করছিলো তোমার মনোযোগের টপ ডাউন সিস্টেম। আর বাসনের আওয়াজে যে তৎক্ষণাৎ ওদিকে তাকালে, ওটা হল বটম আপ সিস্টেম।”
ডাক্তারকাকু ফোনে আবার সার্চ করে আরেকটা ছবি বার করলেন, “দেখ মস্তিষ্কের এই এতগুলো আলাদা আলাদা জায়গা attention network-এর অংশ। যেটাকে আমি টপ ডাউন বলছিলাম, সেটাকেই এখানে endogenous attention (dorsal system) বলছে। এই নীল জায়গাগুলো এতে কাজ করে। আর যেটাকে বটম আপ বলছিলাম, সেটার নাম exogenous attention (ventral system)। এই কমলা জায়গাগুলো সেই সিস্টেম-এর অংশ।”
মস্তিষ্কের অন্তর্দ্বন্দ্ব
তিতিরের বাবা বলে উঠলেন,“ওর তো বটম আপ সিস্টেমটা কাজ করে বেশি। টপ ডাউন সিস্টেমটা কাজ করতে চায় না।”
তিতির রাগী চোখে বাবার দিকে তাকালো। ডাঃ কাকু হেসে বললেন, “বটম আপ সিস্টেম কাজ করাও ভীষণ জরুরী। এইটা পরিবেশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রক্ষা করে, পরিবেশের স্টিমুলাসের (stimulus) জবাব দিতে সাহায্য করে। চারপাশে কী ঘটছে, সেইটা জানাও তো জরুরী। যেমন রাস্তায় চলতে চলতে কানে ফোন নিয়ে হাঁটলে দুর্ঘটনা ঘটে যায় কারণ ফোনে মনঃসংযোগ গাড়ির হর্ণ শোনার ক্ষেত্রে বাধা দেয়।” খুশি হয়ে বাবার দিকে তাকাল তিতির।
কাকু বলেন, “আমরা যে অ্যাক্টিভ ভয়েসে (active voice) বলি মনঃসংযোগ করছি, তার কারণ আমরা টপ ডাউন সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি (voluntary system)। বটম আপ সিস্টেমটা আমরা নিজে থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা। এটা একটা non-voluntary system।”
তিতিরের বাবা তড়িঘড়ি বলে উঠলেন, “তাহলে বই পড়ার সময় ফোন দেখার বিষয়টা কী দাঁড়াল?”
“একটা বই পড়তে বেশ কিছুটা সময় দরকার। সেই সময়ে অনেকটা মনঃসংযোগ দরকার। মনঃসংযোগের টপ ডাউন সিস্টেমটা সেই সময়ে চেষ্টা করে চারপাশে কোথায় কী ঘটছে সে বিষয়ে নজর যাওয়া থেকে আটকানো। অর্থাৎ বটম আপ সিস্টেমকে বাধা দেওয়া। এইবার তখন যদি পাশে থাকা ফোন-এ নোটিফিকেশন আসতে থাকে, তাহলে আমাকে দুটি কাজ একসাথে করতে হচ্ছে। আমাকে বইয়ের লেখাও পড়তে হচ্ছে, ফোনের নোটিফিকেশনের আওয়াজও মস্তিষ্কে ঢোকার চেষ্টা করছে। যতই নোটিফিকেশন আসুক তবু খুলে দেখব না, বইটাই পড়ব – এই বিষয়ে জোর দিতে হচ্ছে। আমার অজান্তেই এই পরিশ্রমটা করতে হচ্ছে আমার মস্তিষ্ককে। একেই বলে ‘ওয়ার্কিং মেমরি লোড’। এই ওয়ার্কিং মেমরি লোডের জন্য কারোর কারোর ক্ষেত্রে দ্রুত হাঁপিয়ে যায় মস্তিষ্ক। একই ঘটনা ঘটে মাল্টিটাস্কিং যারা করে তাদের ক্ষেত্রেও। অনেকগুলো কাজ একসাথে করতে গিয়ে ওয়ার্কিং মেমরি লোড বেড়ে যায়। কাজের ক্ষেত্রে ভুলও হয়ে যায়। মনে থাকে না সব কিছু।”
অনেকগুলো কাজ একসাথে করতে গেলে ওয়ার্কিং মেমরি লোড বেড়ে যায়। কাজের ক্ষেত্রে ভুলও হয়ে যায়, মনে থাকে না সব কিছু।
“এই জন্যই বাবা এত কিছু ভুলে যায়। বাবাকেও সোশ্যাল মিডিয়া আর একসাথে চব্বিশটা অফিসের কাজ কমাতে হবে”, তিতির বলে।
“হ্যাঁ, ‘ওভার লোডেড সার্কিট’-এর ধারণা অনেকটা এরকমই। মস্তিষ্কের গঠনগত অসুবিধা না থাকলেও [২] শুধু কাজের ধরণ বা জীবনযাত্রার ধরণের জন্য এই রকমের অসুবিধা হতে পারে। মাল্টিটাস্কিং করতে গেলে কোনো একটা কাজ খুব ভালো করে শেষ করে ওঠা যায় না। একইসাথে অনেক ধরনের কাজ না করে তাই একের পর এক কাজ করা ভালো (sequentially)।”
তিতিতের বাবা মাথা নাড়লেন। এরপর থেকে একটা কাজ শেষ করে অন্য কাজ করবেন বলে ঠিক করলেন।
অতঃকিম
“তাহলে কাকু আমি কী ভিডিও দেখে পড়ব না?’’, তিতির জিজ্ঞেস করে।
“ভিডিও দেখে শিখবে না, সেটা বলি কিকরে। শিখে মনে রাখার এই বিষয়টা বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম। কেউ শুনে এবং দেখে ভালো মনে রাখে, কেউ পড়ে। এই বিষয়টা নির্ভর করে শর্ট টার্ম মেমরি থেকে লং টার্ম মেমরিতে স্মৃতির একত্রীকরণ (memory consolidation) বিষয়টার উপর। এই বিষয়ে বরং অন্য একদিন বলব।”
তিতিরের বাবাই একটা উপায় বার করলেন,“তাহলে তিতির তুমি ভিডিও দেখে শিখতে পার। কিন্তু ভিডিও দেখে পড়া বোঝার সময় বারবার নোটিফিকেশন এলে তোমার অ্যাটেনশন বিঘ্নিত হবে। সেক্ষেত্রে তুমি ভিডিও ডাউনলোড করে রাখবে এবং দেখার সময় ফোন ফ্লাইট মোডে দিয়ে ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ করে রাখবে। সাথে অনেক্ষণ বই পড়া ও বই পড়েই বিষয়টা বোঝার চেষ্টা চালিয়ে যাও।”
কাকু চলে গেলে তিতির ফোন বন্ধ করে পড়তে বসে যায়। মনে মনে ভাবে কত কিছু আজ সে শিখল। সেগুলি যেন স্থায়ী স্মৃতি হয়ে মস্তিষ্কে থেকে যায়।
তথ্যসূত্র ও অন্যান্য টুকিটাকি :
[১] https://www.nature.com/articles/nrn755
[২] ADHD-র মত মানসিক রোগে মস্তিষ্কের গঠনগত কারণে কোনো একটা বিষয়ে মনঃসংযোগ ধরে রাখতে অসুবিধে হয়। এই সমস্যাটা সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রেও হলেও এখন জানা গেছে যে এটা প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থাতেও থাকতে পারে।